ছুটির দিন হলেও শনিবার সকাল থেকেই পুরো ক্যাম্পাসে বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী হাওয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বর, পরিবহন মার্কেট, জোহা চত্বরসহ বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন লিফলেট বিতরণে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের পক্ষে সমর্থন চাচ্ছেন তাঁরা।
এদিকে, পোষ্য কোটা ইস্যুতে শিক্ষক–কর্মকর্তাদের ঘোষিত শাটডাউন কর্মসূচি স্থগিত হওয়ায় আগামী ১৬ অক্টোবরই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রার্থীরা বলছেন, শাটডাউন প্রত্যাহার হওয়ায় নির্বাচনের অনিশ্চয়তা কেটে গেছে। এখন তারা উৎসবমুখর নির্বাচনের প্রত্যাশায় মাঠে নেমেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকেও দাবি করা হচ্ছে, উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্নের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছুটির দিনেও রাকসু নির্বাচনের প্রার্থীদের প্রচারণা জমজমাট
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এবার কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, সিনেট প্রতিনিধি ও হল সংসদ মিলে মোট প্রার্থী রয়েছেন ৯০২ জন। ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১ জন। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি একাডেমিক ভবনের ১৭টি কেন্দ্রে স্থাপিত ৯৯০টি বুথে, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। অনেকেই আশা করছেন, এ নির্বাচন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক চর্চায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
]]>