মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার নেওয়াশী ইউনিয়নের চাকেরকুটি ব্যাপারীটারী গ্রামের নিজ বাড়ির পিছনের সেফটিক ট্যাংক থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় বিছানা থেকে শিশুটি নিখোঁজ হওয়ার দাবি করে তার বাবা আমিনুর ইসলাম ও মা জান্নাতুল বেগমসহ শিশুটির দাদি।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, দুপুরে ঘরের ভিতর ঢুকে বিছানায় ঘুমিয়ে থাকা শিশু আদিবাকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না তার দাদি আমেনা। পরে শিশুটির বাবা-মাসহ পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে শিশু নিখোঁজের বিষয়টি সোমবার থানা পুলিশকে অবগত করা হয়।
আরও পড়ুন: স্কুলব্যাগে পাওয়া গেল নাশিতের মরদেহ, মূলহোতা তারই বড় ভাইয়ের বন্ধু
পুলিশ সেদিনই ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির বাড়ির বিভিন্ন জায়গাসহ প্রতিবেশীদের খোঁজ করেও তাকে খুঁজে পায়নি। পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে খুঁজতে গিয়ে শিশুটির মরদেহ পায়।
পুলিশ জানায়, পরিবারের লোকজনের অভিযোগ ওই বাড়িতে আগে থেকে প্রায় সময় বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটতো। পরে সোমবার শিশুটি হঠাৎ ঘর থেকে রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে পাওয়া যায়নি। আজ পুলিশ সেপটিক ট্যাংক থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে পরিত্যক্ত ঘর থেকে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার
এ ঘটনায় শিশুটির মা, বাবা ও দাদিকে জিজ্ঞাসাবাদের মঙ্গলবার বিকেলে থানায় নেয় পুলিশ।
নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনায় শিশুটির বাবা-মা ও দাদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে। এখনও জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। শিশুটিকে হত্যার রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা চলছে।