বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে হেরে যায় রহমতগঞ্জ। আর পঞ্চমবারের মতো ফেডারেশন কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করে কিংস। অতিরিক্ত সময়ে জয়সূচক গোলটি করেন তরুণ ফুটবলার ইনসান হোসেন। ২২ এপ্রিল ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামে ফাইনালে আবাহনীর মুখোমুখি হবে বসুন্ধরা।
ম্যাচের ১০৭ মিনিটে রহমতগঞ্জের তাজ উদ্দিন ফাউল করেন তারই ভাই কিংসের সাদ উদ্দিনকে। সেই ফাউলকে কেন্দ্র করে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন কিংসের মজিবুর রহমান ও রহমতগঞ্জের আক্কাস আলী। এ ঘটনায় ৪ মিনিটের মতো বন্ধ ছিলো খেলা। আর এরপরেই ছন্দপতন হয় রহমতগঞ্জের।
আরও পড়ুন: আগামী বিশ্বকাপে মেসির খেলা-না খেলা প্রসঙ্গে যা বললেন 'বন্ধু' সুয়ারেজ
কিংস অ্যারেনারয় আজ ম্যাচের ১১১ মিনিট পর্যন্ত স্কোরলাইন ছিলো ১-১। পরের মিনিটেই ডান প্রান্ত ধরে আক্রমণে ওঠে কিংস। রাকিবের লম্বা ক্রস থেকে দারুণ এক হেডে বল জালে জড়ান ইনসান। শেষ পর্যন্ত সেই গোলেই ম্যাচ জেতে বসুন্ধরা কিংস।
এ দিন ম্যাচের শুরুটা ছিলো একটু সাদামাটা। অষ্টম মিনিটে স্যামুয়েল বোয়াটেং চিপ শটে গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বল তুলে দিয়েছিলেন, তবে হেডে কর্নারের বিনিময়ে ক্লিয়ার করেন এক ডিফেন্ডার।
প্রথমার্ধে জালের দেখা পায়নি কোনও দল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে দুই দল। তবে কোনোভাবেই ডেডলক ভাঙতে পারছিলেন না কেউই। অবশেষ ৭৫তম মিনিটে খোলে ম্যাচের ডেডলক।
আরও পড়ুন: ইনজুরি কাটিয়ে নেইমার মাঠে ফিরতেই চাকরি গেল কোচের
বক্সের ভেতর থেকে দারুণ এক কাটব্যাক করেন নাবিব নেওয়াজ জীবন। তপু বর্মনের পায়ের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে বল চলে যায় সলোমন কিংয়ের পায়ে। বলটি রিসিভ করে নিখুঁত প্লেসিং শটে জাল খুঁজে নেন গাম্বিয়ান এই ফরোয়ার্ড।
তার ৬ মিনিট পরই সমতায় ফেরে বসুন্ধরা কিংস। সাদউদ্দিনের লম্বা ক্রসে গোলমুখ থেকে আলতো টোকায় লক্ষ্যভেদ করেন রাকিব। এরপর ১১২তম মিনিটে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করে কিংস। আর তাতেই ২-১ গোলের জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত হয় কিংসের।
]]>