রোববার (১৩ এপ্রিল) সকালে একদিকে যেমন সম্পন্ন হয়েছে মঞ্চ বাঁধার কাজ, অন্যদিকে ছায়ানটের শিক্ষার্থীরাও পূর্ণ প্রস্তুত তাদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা নিয়ে। বিকেল থেকেই চলছে সর্বশেষ সাংগীতিক মহড়া। ভৈরবী রাগের সুর ধরে রমনার বটমূল থেকে শুরু হবে নতুন বছরের সূচনালগ্ন।
একদিন বাদেই পয়লা বৈশাখ। পুরনো বছরের শেষপ্রান্তে দাঁড়িয়ে হাতছানি দিচ্ছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২। বিগত বছরের দুঃখ-বেদনা, ভুল-ভ্রান্তি পেছনে ফেলে আনন্দ আর উৎসবের মধ্য দিয়ে বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নিতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে রমনার বটমূলে।
ছায়ানটের পরিবেশনায় গানে গানে বর্ষবরণ করতে সকালে শেষ হয়েছে মঞ্চ বাঁধার কাজ। ৭২ ফুট লম্বা ও ৩০ ফুট প্রস্থের মঞ্চে এবারে মোট পাঁচটি ধাপে অংশগ্রহণ করবে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী। রাত পোহালেই একক ও সমবেত কণ্ঠে মুখরিত হবে রমনার প্রান্তর।
আরও পড়ুন: নতুন ভোরের বার্তা নিয়ে আসছে এবারের পহেলা বৈশাখ
ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা-প্রাণপ্রতিম সনজীদা খাতুনের অনুপস্থিতিতে কিছুটা ছন্দপতন ঘটার আশঙ্কা থাকলেও ছায়ানটের সদস্যরা অনড় পুরনো ঐতিহ্য ধরে রাখতে। প্রিয় মানুষটির স্বপ্ন সফল করতে।
এদিকে, ঢাবিতে আগুনে পুড়ে যাওয়া ‘হাসিনার দানবীয় মুখাকৃতি’সহ দুটি মোটিফ পুনরায় তৈরি করা হচ্ছে। আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা ফ্যাসিবাদের প্রতীক পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় শেখ হাসিনার দোসরদের দায়ী করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।