রংপুরে শিশু পার্কের মিনি ট্রেনের চাপায় শিশুর মৃত্যু; ডেথ সার্টিফিকেটও নেয়নি পরিবার

৩ সপ্তাহ আগে
রংপুর চিড়িয়াখানায় মিনি ট্রেনের চাপায় আড়াই বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে এ ঘটনায় শিশুটির পরিচয় নথিভুক্ত করার আগেই হাসপাতাল থেকে মরদেহ নিয়ে চলে যায় পরিবার।

‎‎শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে চিড়িয়াখানার ভেতরে অবস্থিত শিশু পার্কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কোতোয়ালি থানা পুলিশ ও চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।


এ বিষয়ে চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. মো. ওমর আলী বলেন, ‘নিহত শিশুটি লালমনিরহাট জেলা থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে ঘুরতে এসেছিল বলে জানা গেছে। তবে নাম-পরিচয় জানা যায়নি।


চিড়িয়াখানার ঠিকাদার সোহরাব হোসেন বলেন, ‘দুপুর ১টার দিকে শিশু পার্কের মিনি ট্রেনটি চলছিলো। এ সময় একটি শিশু হঠাৎ ট্রেনের নিচে পড়ে গুরুতর আহত হয়। শিশুটির পরিবার খেয়াল না রাখায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। পরে শিশুটির পরিবার ও আমাদের পার্কের লোকজন মিলে শিশুটিকে তাৎক্ষণিক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আমরা তাদের নাম পরিচয় জানতে চাই কিন্তু তারা আমাদের কিছু না বলে চলে যায়।’


তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কিছু ভুল ছিল, আমরা সেটা স্বীকার করছি। ট্রেনটি আপাতত বন্ধ রেখেছি। এটা পুনরায় ঠিক করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি করে আমরা চালু করবো।’


আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল কিশোরের


রংপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। তবে এর আগেই স্বজনরা মরদেহ নিয়ে চলে যান। ফলে শিশুর পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।’


রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সায়েদা খাতুন শরীফা বলেন, ‘শিশুর মৃত্যুর ঘটনা আনুষ্ঠানিকভাবে নথিভুক্ত হয়নি। শিশুটি গুরুতর অবস্থায় আসায় আমরা একটা এনওসি কাগজ দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার জন‍্য শিশু ওয়ার্ডে পাঠাই। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি শিশুটি মারা যায়। কিন্তু আমাদের কাছে কোনো ডেথ সার্টিফিকেট না নিয়ে শিশুটির পরিবার হাসপাতাল থেকে চলে যায়।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন