জানা গেছে, বেঁচে যাওয়া ওই ক্রু দুজনের নাম লি (৩২) এবং কউন (২৫)। তারা বিমানের পেছনের দিকে বসে ছিলেন। রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে পাশে দেয়ালে আঘাত করার পর পুরো বিমানটি আগুনের কুণ্ডলিতে পরিণত হয়। কিন্তু তারা পেছন দিকে থাকায় দগ্ধ হওয়া থেকে বেঁচে যান। তবে দুজনই বেশ ভালো আহত হয়েছেন। কিন্তু তাদের জীবন এখন শঙ্কামুক্ত।
দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটি থেকে তাদের টেনে বের করা হয়। তবে দুর্ঘটনার ভয়াবহতায় দুজনেরই স্মৃতিভ্রমের সমস্যা দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: বিমান দুর্ঘটনা /১৭৯ জনের মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ দক্ষিণ কোরিয়া
সংবাদমাধ্যম কোরিয়ান টাইমস জানিয়েছে, লি-কে যখন উদ্ধার করা হয় তখন সে বারবার জিজ্ঞেস করতে থাকে, ‘কী হয়েছে, আমি এখানে কেন?’
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই নারী ক্রুর বাম কাঁধ ও মাথা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে তার জ্ঞান ছিল।
২০১৫ সালে টাইম ম্যাগাজিন এক গবেষণা চালিয়ে দেখেছিল, বিমান দুর্ঘটনা ঘটলে পেছনের আসনে থাকা যাত্রীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
আরও পড়ুন: বিধ্বস্তের একদিন পর জেজু এয়ারের আরেক বিমানে ত্রুটি, বিমানবন্দরে ফেরত
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, জেজু এয়ারলাইন্সের দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটি চাকা ছাড়া ল্যান্ড করছে। এরপর এটি রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে পাশের দেওয়ালে আঘাত করে। এর পরপরই বিশাল বিস্ফোরণে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।