নাসায়ির হাদিসে এসেছে, তিনি আলী (রা.)-কে তিনটি কাজে দেরি না করার নির্দেশ দেন। যথা:
নামাজ
যখন ওয়াক্ত আসে, তখনই নামাজ আদায় করা উত্তম। কাসিম ইবনে গান্নাম (রহ.)-এর থেকে তাঁর ফুফু ফারওয়া (রা.)-এর সূত্রে বর্ণিত, যিনি নবী (সা.)-এর কাছে বাইয়াত গ্রহণকারী নারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘রাসুল (সা.)-কে প্রশ্ন করা হলো, কোন কাজটি সবচেয়ে ভালো? তিনি বললেন, আওয়াল (প্রথম) ওয়াক্তে নামাজ আদায় করা।’ (তিরমিজি ১৭০)
আরও পড়ুন: রজব মাস আসলেই নবীজি যে দোয়া পড়তেন
জানাজা
যখনই জানাজা উপস্থিত হয়, তখনই দেরি না করে নামাজ আদায় করা উচিত। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমরা জানাজা তাড়াতাড়ি পড়ে নেবে। যদি সে নেককার হয় তবে তা তার জন্য কল্যাণকর। তোমরা তাকে তাড়াতাড়ি তার কল্যাণের দিকে পাঠিয়ে দাও। আর যদি বদকার হয়, তবে একজন বদকারকে স্বীয় কাঁধ থেকে নামিয়ে রাখো। (নাসায়ি ১৯১০)
বিবাহযোগ্য নারী
যখনই বিবাহযোগ্য নারীর জন্য উপযুক্ত পাত্র পাওয়া যাবে, তখনই বিয়ে দিয়ে দেওয়া উত্তম। হজরত আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) আমাদেরকে বলেছেন, তোমাদের যে ব্যক্তি বিয়ের খরচাদির সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিয়ে করে; আর যে ব্যক্তি অসমর্থ, সে যেন সিয়াম পালন করে। এটি তার যৌন তাড়নার নিয়ন্ত্রক। (নাসায়ি: ৩২০৮)
]]>