সোমবার (১৮ আগস্ট) এক বিবৃতেতে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, তারা ও অন্যান্য ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী রোববার কাতার ও মিশরীয় মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাব মেনে নেয়ার কথা জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সরকার এ বার্তা পেয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান বিন জসিম আল থানি কায়রোতে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে সাক্ষাতের পর হামাসের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মেনে নেয়ার এই ঘোষণা এল।
আরও পড়ুন: আলবানিজকে নেতানিয়াহুর তোপ, অস্ট্রেলিয়া-ইসরাইল সম্পর্ক তলানিতে
প্রস্তাবিত চুক্তি অনুযায়ী, ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি থাকবে এবং অর্ধেক ইসরাইলি জিম্মি মুক্তি পাবে। পাশাপাশি মানবিক সহায়তা প্রবেশের পথও খোলা থাকবে।
তবে হামাসের মেনে নেয়ার অর্থ এই নয় যে, যুদ্ধ খুব শিগগিরই বন্ধ হতে চলেছে। গত দুই বছর ধরে হামাস বিভিন্ন সময় যুদ্ধবিরতি এবং ইসরাইলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির প্রস্তাব মানতে রাজি হয়েছে। কিন্তু ইসরাইল সেগুলো নানা অজুহাতে প্রত্যাখ্যান করে গাজা উপত্যকায় হামলা অব্যাহত রাখার ওপর জোর দিয়েছে।
হামাসের অনুমোদনের পর একজন ইসরাইলি কর্মকর্তা টাইমস অব ইসরাইল বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাসের প্রতিক্রিয়ার সবশেষ প্রস্তাব জেরুজালেম পেয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় প্রাণহানি ছাড়াল ৬২ হাজার
তবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গাজা সিটি দখল ও ইসরাইলি মিশন সম্পন্ন করার পরিকল্পনা নিয়ে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও চিফ অব স্টাফের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। তার ভাষ্য, হামাস প্রচণ্ড চাপের মধ্যে আছে।
এদিকে, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস একটি অন্তর্বর্তী সংবিধান প্রণয়নের কমিটি গঠন করেছেন। এটি ভবিষ্যতের ফিলিস্তিন রাষ্ট্র পরিচালনার প্রস্তুতি হিসেবে কাজ করবে। একে সাধারণ নির্বাচনের ও জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সম্মেলনের প্রস্তুতি হিসেবেও ধরা হচ্ছে।
]]>