বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের ক্রোপিভনিতস্কি শহরে রাতভর ড্রোন হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু বাড়িঘর, ঘটেছে হতাহতের ঘটনা। এছাড়া, ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুমি অঞ্চলে রুশ ড্রোন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুটি হাসপাতাল। পাশাপাশি, বুধবার দিনিপ্রো শহরের বিদ্যুৎকেন্দ্রে পরপর দুটি হামলা চালিয়েছে রুশ সেনারা।
যদিও এর কয়েক ঘণ্টা আগেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ৩০ দিনের জন্য ইউক্রেনের বিদ্যুৎ অবকাঠামোর ওপর হামলা স্থগিত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
এছাড়াও, একদিনেই রুশ বাহিনীর হাতে ২শ’র বেশি ইউক্রেনীয় সেনা প্রাণ হারিয়েছে বলে দাবি করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে রাশিয়ার এমন দাবির বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি কিয়েভ।
আরও পড়ুন: পুতিনের পর জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপ ট্রাম্পের
রুশ বাহিনীকে লক্ষ্য করে পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনীও। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, একদিনেই জেলেনস্কি বাহিনীর ছোঁড়া বেশকিছু ড্রোন প্রতিহত করেছে তারা। এছাড়া ইউক্রেনীয় সেনাদের হামলায় রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্রাসনোদার অঞ্চলের একটি তেল ডিপোতে হামলার পর অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির মধ্যে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ফোনালাপ হয়েছে। হোয়াইট হাউস জানায়, জেলেনস্কি আংশিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছেন। যদিও জেলেনস্কির অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছেন পুতিন। মস্কোর আগ্রাসন রুখতে বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানান জেলেনস্কি।
আগামী সোমবার সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার আলোচনায় ইউক্রেনের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন বলে জানান প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তবে তারা রাশিয়ার সঙ্গে এক কক্ষে থাকবেন না। ধারণা করা হচ্ছে, বৈঠকে ইউক্রেনের সম্ভাব্য শান্তি চুক্তি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে পারে এদিন।
আরও পড়ুন: ফোনালাপ: ট্রাম্পকে এক ঘণ্টা অপেক্ষায় রাখেন পুতিন!
অন্যদিকে, আবারও পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে অস্ত্র সহায়তা পেতে যাচ্ছে কিয়েভ। জার্মান সরকার ইউক্রেনকে ৩৩০ কোটি ডলারের নতুন সামরিক সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
]]>