যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও গাজায় ফিলিস্তিনিরা ক্ষুধার্ত, সময়মতো পৌঁছাচ্ছে না ত্রাণ সংস্থাগুলো

২ সপ্তাহ আগে
ইসরাইলি নিষেধাজ্ঞার কারণে বোমা বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় খাদ্য ও অন্যান্য মানবিক সরবরাহ সময়মতো পৌঁছাতে পারছে না বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের কর্মকর্তা আবির ইতিফা। এজন্য সাহায্য সংস্থাগুলোকে ‘সময়ের সাথে প্রতিযোগিতা’ করতে হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বুধবার (৫ নভেম্বর) আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়। 

 

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) জ্যেষ্ঠ মুখপাত্র ইতিফা জানান, গত মাসে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে সাহায্য সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

আরও পড়ুন:ইসরাইলকে সমর্থন করা বন্ধ না করলে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সহযোগিতা করবে না ইরান: খামেনি


কিন্তু গাজায় মাত্র দুটি ক্রসিং খোলা আছে, যা ডব্লিউএফপি এবং অন্যান্য সংস্থাগুলোর সহায়তার পরিমাণ পৌঁছাতে যথেষ্ট নয়। এতে সহায়তা সীমিত পৌঁছাচ্ছে। 


ইতিফা বলেন, ‘আমাদের পূর্ণ প্রবেশাধিকার প্রয়োজন। দ্রুত পরিস্থিতি সামলে নেয়ার জন্য আমাদের সবকিছুর (খোলা) প্রয়োজন। আমরা সময়ের সাথে প্রতিযোগিতায় আছি। শীতকাল আসছে। মানুষ এখনও ক্ষুধার্ত, এবং তাদের চাহিদাও অত্যধিক।’


ডব্লিউএফপি যা বর্তমানে গাজা জুড়ে ৪৪টি খাদ্য বিতরণ কেন্দ্র পরিচালনা করে, জানিয়েছে তারা ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে এই অঞ্চলে দশ লক্ষেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে খাদ্য প্যাকেজ সরবরাহ করেছে।


ইতিফা সাংবাদিকদের আরও বলেন, একদিকে গাজায় খাদ্য পৌঁছানোর পরিমাণ অপর্যাপ্ত, তার ওপর উত্তর গাজায় পৌঁছানো এখনও একটি চ্যালেঞ্জ, যেখানে বিশ্বের শীর্ষ ক্ষুধা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আগস্ট মাসে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতির সতর্কতা জানিয়েছিল। 

 

জাতিসংঘের কর্মকর্তা জানান, ‘একটি বড় বাধা হল গাজা উপত্যকায় উত্তরাঞ্চলীয় ক্রসিংগুলো ক্রমাগত বন্ধ থাকা। ত্রাণ কনভয়গুলোকে দক্ষিণ থেকে ধীর এবং কঠিন পথ অনুসরণ করতে বাধ্য করা হয়। ফলে পৌঁছাতে সময় লাগে।’


সহায়তা ব্যাপক পরিমাণে সরবরাহের জন্য, ডব্লিউএফপি -এর প্রয়োজন সমস্ত ক্রসিং খোলা থাকা। বিশেষ করে উত্তরে। গাজা জুড়ে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলোতে সম্পূর্ণ প্রবেশাধিকারও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যাতে খাদ্য দ্রুত এবং দক্ষতার সাথে প্রয়োজনীয় স্থানে পরিবহন করা যায়। বলেন ইতিফা।

 

আরও পড়ুন:গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক লুট করার মার্কিন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান হামাসের 

 

যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরাইলি সেনাবাহিনী তথাকথিত ‘হলুদ রেখা’ তে সরে যাওয়ার পর সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি গাজার উত্তরে তাদের বাড়িতে ফিরে এসেছে।

 

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন