তবে হামলা চালানোর মধ্যেই জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য আলোচনা চালিয়ে যাবেন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘স্বেচ্ছায় অভিবাসন’ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করবেন বলেও জানান তিনি।
বলেন, মন্ত্রিসভা হামাসের উপর চাপ বাড়াতে সম্মত হয়েছে। এর আগে মধ্যস্থতাকারী মিশর ও কাতারের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত হয় হামাস।
আরও পড়ুন:এবারেও মৃতদের কবর দিয়েই কাটবে গাজাবাসীর ঈদ
দুই মাসের যুদ্ধবিরতির পর গাজায় পুনরায় বোমাবর্ষণ শুরু করে ইসরাইল।
এরপর ইসরাইল আর আলোচনায় বসছে না বলে দাবি করা হলেও সে দাবি প্রত্যাখ্যান করেন নেতানিয়াহু। বলেন, আমরা হামলার মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাব এবং এটি কার্যকর হবে।
এদিকে, শনিবার হামাস জানায় যে তারা একটি প্রস্তাবে রাজি হয়েছে। ওই প্রস্তাবে বলা হয় প্রতি সপ্তাহে পাঁচজন ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হবে। কিন্তু ইসরাইলের দাবি অনুযায়ী অস্ত্র সমর্পণের বিষয়টি তারা অস্বীকার করে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রোববার ঈদুল ফিতরের দিনে ইসরাইলি হামলায় বেশ কয়েকজন শিশুসহ কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছেন। দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে একটি তাবুতে ইসরাইল হামলা চালালে নয়জন নিহত হন।
১৮ মার্চ গাজায় ইসরাইল নতুন করে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে, শত শত ফিলিস্তিনি নিহত হন এবং জানুয়ারিতে যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর উত্তর গাজার যে এলাকাগুলোতে তারা ফিরে এসেছিলেন সেখান থেকে কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি আবার সরে যেতে বাধ্য হন।
নেতানিয়াহু আরও বলেন, ইসরাইল হামাসকে অস্ত্র সমর্পণের দাবি জানিয়েছে। সে দাবি মেনে নিলে তাদের নেতাদের গাজা ছেড়ে চলে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হবে। তবে কতদিন ইসরাইলি সেনারা গাজায় অবস্থান করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেননি নেতানিয়াহু।
আরও পড়ুন:ঈদুল ফিতরে বিশ্ববাসীর শান্তি ও সমৃদ্ধি চাইলেন সৌদি বাদশাহ
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা গাজা উপত্যকায় সাধারণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করব এবং ট্রাম্পের পরিকল্পনা, ‘স্বেচ্ছায় অভিবাসন’ বাস্তবায়ন করব। এই পরিকল্পনা নিয়ে আমরা কিছু গোপন করছি না। আমরা যেকোনো সময় এটি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।’
]]>