হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, চুক্তিতে উল্লেখিত নির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তির বিনিময়ে তারা ১০ জন জীবিত ইসরাইলি জিম্মি এবং ১৮ জন মৃত জিম্মির মৃতদেহ হস্তান্তরে প্রস্তুত।
তবে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রস্তাবিত খসড়া সম্পর্কে হামাস তাদের আপত্তিও তুলে ধরেছে। বিস্তারিত প্রতিক্রিয়ায় হামাস তাদের সুপরিচিত শর্তগুলো পুনরাবৃত্তি করেছে: একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, গাজা থেকে সম্পূর্ণ ইসরাইলি প্রত্যাহার এবং মানবিক সহায়তার অব্যাহত প্রবাহের নিশ্চয়তা।
আরও পড়ুন: গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ‘খুব কাছাকাছি’, যেকোনো সময় ঘোষণা দিতে পারেন ট্রাম্প
গাজা উপত্যকায় হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শুক্রবার (৩০ মে) হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
তিনি বলেন, গাজা উপত্যকায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি চুক্তিতে পৌঁছানোর ‘খুব কাছাকাছি’ রয়েছে মধ্যস্থতাকারীরা।
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমরা আপনাদের দিনের বেলায় অথবা হয়তো আগামীকাল এ বিষয়ে জানাব। এ বিষয়ে চুক্তির একটি সম্ভাবনা আছে।
আরও পড়ুন: গাজাবাসীকে জোরপূর্বক অনাহারে রাখছে ইসরাইল: জাতিসংঘ
এদিকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে চলমান আলোচনার মধ্যেও গাজায় ইসরাইলের হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রয়েছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় গাজাজুড়ে আরও ৭২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার গাজার দেইর আল-বালাহ, খান ইউনিস, রাফা এবং গাজা সিটিতে একযোগে হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। দেইর আল-বালাহতে একটি বাড়ি লক্ষ্য করে চালানো হামলায় নিহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। খান ইউনিসে ইসরাইলি গোলাবর্ষণে প্রাণ যায় এক শিশুর, আহত হয় তার মা। গাজা সিটিতে বেসামরিক গাড়িকে লক্ষ্য করে বিমান হামলায় নিহত হন অনেকে, যাদের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও।
এদিকে, পশ্চিম তীরে নতুন করে ৫ হাজার বসতি নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইলি সরকার। জর্ডান ও অন্যান্য এলাকায় এ বসতি নির্মাণ করা হবে। জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্বেগ সত্ত্বেও বসতি সম্প্রসারণ বন্ধের কোনও ইঙ্গিত দেয়নি নেতানিয়াহু প্রশাসন।
আরও পড়ুন: গাজায় নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল ও হামাস কী বলছে?
অন্যদিকে গাজার জন্য পাঠানো মানবিক সহায়তা বহনকারী ট্রাক আটকে দিয়েছে ইসরাইলি বিক্ষোভকারীরা। কেরেম শালোম ক্রসিংয়ের কাছে বিক্ষোভকারীরা ‘কোনো খাদ্য নয়, শুধু জিম্মি ফেরত চাই’ লেখা ব্যানার নিয়ে অবস্থান নেয়। এতে যুদ্ধবিরতি ও সহায়তা পৌঁছানো আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে।
]]>