গত বুধবার (২ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা বেশিরভাগ পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ ন্যূনতম শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এছাড়া নির্দিষ্ট কিছু দেশের ওপর উচ্চতর শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তালিকায় আছে বাংলাদেশও। তবে এই শুল্ক আরোপ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে রাশিয়াকে।
ট্রাম্প চীনের ওপর নতুন করে ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, যা পূর্বে আরোপিত শুল্কসহ ৫৪ শতাংশে দাঁড়াবে।
শনিবার (৫ এপ্রিল) থেকে কার্যকর হবে নতুন শুল্ক। এছাড়া ৯ এপ্রিল থেকে নির্দিষ্ট কিছু দেশের উপর উচ্চতর শুল্ক আরোপ শুরু হবে।
ট্রাম্পের ঘোষণার পরদিন বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে শুল্ক যুক্তরাষ্ট্রকে আরোপের পদক্ষেপ বাতিল করার আহ্বান জানায়।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের শুল্কারোপে কী প্রভাব পড়বে?
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘চীন দৃঢ়ভাবে নতুন শুল্ক আরোপের বিরোধিতা করছে এবং নিজের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত করতে পাল্টা ব্যবস্থা নেবে।’ পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারির একদিন পরই মার্কিন পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিল বেইজিং।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) এক ঘোষণায় দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা সমস্ত পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে এবং ১০ এপ্রিল থেকেই কার্যকর হবে নতুন শুল্ক।
এছাড়া সামারিয়াম, গ্যাডোলিনিয়াম, টার্বিয়াম, ডিসপ্রোজিয়াম, লুটেনিয়াম, স্ক্যান্ডিয়াম ও ইট্রিয়ামসহ মাঝারি ও ভারী ‘বিরল খনিজ’ রফতানি নিয়ন্ত্রণে আনার ঘোষণাও দিয়েছে বেইজিং।
আরও পড়ুন: মার্কিন শুল্কারোপের প্রভাব বিশ্বজুড়ে, সমালোচনার মাঝেও অনড় ট্রাম্প
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবারের বিবৃতিতে বলেছে, ‘জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বার্থ আরও সুসংহত করতে আইন মেনে সংশ্লিষ্ট পণ্যের রফতানি নিয়ন্ত্রণে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
]]>