যুক্তরাষ্ট্রের দুই উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়, যেসব সুযোগের হাতছানি

২ দিন আগে
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর প্রথমবার ঢাকা সফরে এসেছে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল এন চুলিক, পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হেরাপ। এছাড়া তাদের সঙ্গে রয়েছেন মিয়ানমারে নিযুক্ত দেশটির ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুসান স্টিভেনসন।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন তারা।

 

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের দুই উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অন্তর্বর্তী সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন।

 

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে তাদের বৈঠকের কথা রয়েছে। একে শুল্ক ইস্যুসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের সুযোগ হিসেবে দেখছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ও সাবেক রাষ্ট্রদূত এম সাফিউল্লাহ।

 

রোহিঙ্গাদের সহায়তা ও চলমান সংকট সমাধানেও এ সফর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি।

 

আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন সম্ভব: আমীর খসরু

 

সাবেক রাষ্ট্রদূত এম সাফিউল্লাহ বলেন, নির্বাচন এবং সংস্কার নিয়ে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মনোভাব বোঝার চেষ্টা করবে মার্কিন প্রতিনিধি দল। কারণ বিগত সরকারের সময় দেখা গেছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রধান ইস্যু ছিল নির্বাচন। আমেরিকানরা বারবার ফ্রি ও ফেয়ার ইলেকশনের কথা বললেও তা হয়নি। এবার পরিবর্তিত সময়ে নির্বাচন সার্বজনীন হবে কিনা, এটা ফ্রি ও ফেয়ার হবে কিনা ও কখন হবে এটা তারা জানতে চাইবে।  

 

এই সফরকে ঢাকার সামনে শুল্ক ইস্যুর সুরাহা ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নের সুযোগ হিসেবে দেখছেন এই আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ।

 

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের প্রতিনিধির সঙ্গে যে কথা হলো জামায়াত আমিরের 

 

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের কাজকর্ম পর্যবেক্ষণ করবে, দেখবে সবকিছু ঠিকমতো হচ্ছে কিনা। নির্বাচন আর কয়েক মাস পরেই। পরবর্তী নির্বাচনে কারা আসছে, তাদের রাষ্ট্রপরিচালনার নীতি কী হবে, সে সবের ওপর অনেককিছু নির্ভর করবে। তবে আমাদের দিক থেকে ইউএস অ্যাডমিনিস্ট্রেমনের কাছে কী চাওয়া, কী ধরনের সহায়তা আমরা মনিতে পারি সে সব বিষয়েও আলোচনা হবে।

 

রোহিঙ্গাদের সহায়তা ও চলমান সংকট সমাধানেও এ সফর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ও সাবেক রাষ্ট্রদূত এম সাফিউল্লাহ।

 

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের স্বার্থ বিবেচনায় পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক নির্ধারণের তাগিদ বিশ্লেষকদের

 

এদিকে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সফরের সময় নিকোল চুলিক অন্তর্বর্তী সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংস্কার প্রক্রিয়া, বিশেষ করে গণতান্ত্রিক উত্তরণে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা নিয়ে আলোচনা করবেন। চলমান সংস্কার নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনার সময় যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে, তা জানতে চাইবেন। তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে পারেন।

 

অন্যদিকে, অ্যান্ড্রু হেরাপের সফরে মিয়ানমার ও রোহিঙ্গা পরিস্থিতি গুরুত্ব পাবে। মিয়ানমারের কিছু এলাকা ছাড়া দেশটির বাকি অংশে জান্তা সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। মিয়ানমার মাদক চোরাচালান, অবৈধ অস্ত্র, বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের অপহরণ করে আটকে রাখা, নারী ও শিশুসহ মানব পাচারের অন্যতম কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এর সঙ্গে রোহিঙ্গা পরিস্থিতিতো রয়েছেই। ফলে অ্যান্ড্রু হেরাপের ঢাকা সফরে পুরো পরিস্থিতিই আলোচনায় আসবে।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন