এতে উদ্বেগ ও আতঙ্ক বাড়ছে দেশটিতে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের মাঝে। অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে তাদের নিরাপত্তা ও ভিসার স্থায়িত্ব নিয়ে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, ইসরাইলিপন্থি গোষ্ঠীগুলো তাদেরকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছে।
গাজায় চলমান ইসরাইলি তাণ্ডবের প্রতিবাদে সম্প্রতি বিভিন্ন সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভ করেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা। নিজেদের নিরাপত্তাজনিত শঙ্কা থেকে অনেকেই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন মাস্ক ও স্কার্ফ জড়িয়ে। তাতেও রেহাই পাচ্ছেন না ফিলিস্তিনের পক্ষে সোচ্চার হওয়া শিক্ষার্থীরা।
ফেসিয়াল রিকগনিশন নামের আধুনিক এক প্রযুক্তির মাধ্যমে মাস্ক পরা অবস্থাতেই প্রকাশ পেয়ে যাচ্ছে নাম-পরিচয়। ট্রাম্প প্রশাসন এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলন দমনের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তাদের। নাম-পরিচয় বের করে ইসরাইলপন্থিরা এসব তথ্য ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে জমা দিচ্ছে বলেও জানান তারা।
আরও পড়ুন: মৃত্যুপুরীতে ঈদ, তবুও সন্তানদের খুশি রাখার চেষ্টা গাজার মায়েদের
এতে উদ্বিগ্ন কলম্বিয়া ও নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত অসংখ্য বিদেশি শিক্ষার্থী। তারা জানান, বিভিন্ন ইসরাইলপন্থি দল এই প্রযুক্তির মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছে তাদের।
এতে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে নিরাপত্তা ও ভিসার স্থায়িত্ব নিয়ে। এমনকি হুমকির মুখে পড়েছে আন্তর্জাতিক এসব শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাও। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হওয়ার আশঙ্কাও করছেন অনেকে।
যেমন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলছিলেন, ‘আমি খুবই শঙ্কিত। একই সঙ্গে আমি ক্ষুব্ধও। আমি আসলেই এখানে পড়াশোনা করতে এসেছি।’ বিশ্লেষকরা বলছেন, এই প্রযুক্তি শিক্ষার্থীদের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করবে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের পর হামাসের উপর চাপ বাড়ানোর ঘোষণা নেতানিয়াহুর
তবে ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, এই প্রযুক্তির লক্ষ্য অপরাধ প্রবনতা রোধ করা। যেসব ব্যক্তি বিক্ষোভের আড়ালে সহিংসতায় লিপ্ত হচ্ছেন তাদের চিহ্নিত করতেই এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
]]>