ইরানের সঙ্গে নতুন করে পরমাণু চুক্তি চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। এজন্য আলোচনা শুরুর জন্য সম্প্রতি খামেনিকে চিঠি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চিঠিতে পরমাণু চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য দুই মাস সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। অন্যথায় ইরানে হামলা চালানো হবে বলে হুমকিও দেয়া হয়েছে।
সেই হুমকিরই জবাব দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা। শুক্রবার (২১ মার্চ) তেহরানের ইমাম খোমেনি কমপ্লেক্সে এক সভায় খামেনি বলেন, ‘তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) ও অন্যদের জানা উচিত যে, যদি তারা ইরানের কোনো ক্ষতি করে, তারা কষে চড় খাবে।’
খামেনি আরও বলেন, শত্রুরা ইরানিদের ইসলামি শিক্ষা থেকে দূরে রাখার জন্য একটি মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ চালাচ্ছে, কিন্তু কোন লাভ হয়নি। তাদের ইরানি জাতির বিরুদ্ধে কোনো খারাপ কাজ করা থেকে বিরত থাকা উচিত, অন্যথায় তারা ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করবে।
আরও পড়ুন: নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ইসরাইলে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ
ইরান শুরু থেকেই বলে আসছে এবং সম্প্রতি আবারও নিজেদের আনুষ্ঠানিক অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছে, তারা কখনও পারমাণবিক বোমা তৈরির উদ্যোগ নেয়নি এবং ভবিষ্যতেও নেবে না। তবে ট্রাম্পের কঠোর মনোভাবের কারণে দেশটির কিছু কঠোরপন্থি নেতা আত্মরক্ষায় পারমাণবিক বোমা তৈরির পক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন।
এ পরিস্থিতিতে ইরানের ওপর চাপ আরও বেড়েছে। কারণ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ, বিশেষত ইউরোপীয় শক্তিগুলো দেশটির পারমাণবিক কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
এসবের মধ্যেই ইরান চীনের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে এবং রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক জোরদার করার দিকে আরও এগিয়ে যাচ্ছে। ফলে আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যেও ইরান নিজেদের শক্তিশালি অবস্থান ধরে রাখার চেষ্টা করছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: ইসরাইলের হামলা / গাজার ধ্বংসস্তূপে কান্নার আওয়াজ, যেভাবে উদ্ধার হলো ২৫ দিনের শিশু