কুইন সুলিভান ও কাভান সুলিভান দুজনই যুক্তরাষ্ট্রের বয়সভিত্তিক দলে খেলেছেন। ধারণা করা হচ্ছে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপকে সামনে রেখে তাদের খুব শিগগির যুক্তরাষ্ট্রের সিনিয়র দলেও অভিষেক হবে। তাই চাইলেও তাদের দিকে বাফুফে হাত বাড়াতে পারছে না। তবে সুখবর একটি আছে। কাভান ও কুইনের আরও দুই ভাই ফুটবলার, একজনের নাম রোনান সুলিভান ও অন্যজন ডেকলান সুলিভান। বাফুফের তথ্যমতে, তারা ফিলাডেলফিয়ার একাডেমিতে রয়েছেন। এই দুজনকে বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সিতে খেলানোর জন্য চেষ্টা করছে বাফুফে।
সম্প্রতি হামজা চৌধুরী বাংলাদেশের হয়ে খেলার পর বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি সংশ্লিষ্ট ফুটবলারদের পাওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে বাফুফে। তারই ধারাবাহিকতায় রোনান ও ডেকলানের প্রসঙ্গ। তারা নাকি বাংলাদেশের হয়ে খেলার জন্য ইতিবাচক সাড়াও দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাফুফে সহসভাপতি ফাহাদ করিম।
সময় সংবাদকে ফাহাদ করিম বলেছেন, ‘দুই ভাই (কাভান ও কুইন) কিন্তু এখন এমএলএস টপ লিগে খেলছে, টপ টিমেও। তারা পারফর্ম করছে। একজন হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের দলে যেকোনো সময় ডাক পাবে। এই দুজনকে বাদ দিয়ে আমাদের চিন্তা করতে হবে, অন্তত কিছু বছরের জন্য। কারণ তারা এখন যুক্তরাষ্ট্রকেই প্রাধান্য দিবে। এটাই স্বাভাবিক। আমাদের চাওয়াটাও বোকামি হবে, সত্যি কথা। আরও দুই ভাই আছে, যারা ফিলাডেলফিয়ার একাডেমিতে আছে। তারা নিয়মিত প্রাকটিস করছে। আমরা ওই দুজনের জন্য তাদের বাবার সঙ্গে কথা বলেছি, গতকাল রাতে প্রথমবার উনার সঙ্গে কথা বলেছি। আমার কাছে মনে হয়েছে তিনি কমফোর্ট ফিল করেছেন।’
আরও পড়ুন: জেমিকে টপকে নতুন রেকর্ড গড়লেন কাবরেরা
রোনান ও ডেকলান এখন পর্যন্ত অন্য কোনো দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব না করায় লাল-সবুজ জার্সি গায়ে খেলতে তাদের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। কীভাবে তাদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট করে দেওয়া যায় সে বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে চায় বাফুফে। ফাহাদ করিম বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে তো তাদের সঙ্গে অনেকেই যোগাযোগ করে। কিন্তু ফুটবল ফেডারেশনের একজন কর্মকর্তা যখন কথা বলেন, তখন মনে হয় উনি কমফোর্ট জোনটা পেয়েছেন। ওরা ইন্টারেস্টেড, যদি টাইমলাইনটা ম্যাচ করে, তারা আসতে রাজি। এতে কোনো সন্দেহ নেই।’
তবে সরাসরি জাতীয় দল নয়। আগে বয়সভিত্তিকে খেলিয়ে তারপরই রোনান এবং ডেকলানকে মূল দলের জন্য বিবেচনা করবে ন্যাশনাল টিম ম্যানেজমেন্ট কমিটি।