যদিও হজ ফরজ হওয়ার সাথে সাথে হজ আদায় করা জরুরি না। তবে জীবনে একবার হজ ফরজ হলেও যত দ্রুত সম্ভব তা আদায় করে নেয়া উত্তম। নয়তো হজ পালন ছাড়া মৃত্যু হলে আমলনামায় ফরজ ত্যাগ করার গুনাহ লিপিবদ্ধ হবে।
ইসলামের বিধানে প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ ও মক্কায় গিয়ে হজের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে ফিরে আসার সামর্থ্য রাখে, এমন প্রত্যেক মুসলমান নারী-পুরুষের ওপর জীবনে একবার হজ করা ফরজ। তবে নারীদের জন্য স্বামী বা মাহরাম পুরুষ সঙ্গে থাকা শর্ত। (ফাতাওয়া শামি ২/৪৫৫)
আরও পড়ুন: শীতকালে যে ৩ আমলে মহা পুরস্কারের ঘোষণা
পারিবারিক জরুরি খরচ ও জরুরি ঋণ পরিশোধের টাকা ব্যতীত যদি হজ নিবন্ধনের সময় কারও কাছে হজের ব্যয়ভার বহন করার জন্য টাকা থাকে তাহলে তার ওপর হজ ফরজ। এবার সরকারি ও বেসরকারিভাবে ৪ লাখ ৭৮ হাজার টাকা থাকলে তার পক্ষে হজ করা সম্ভব।
কারও কাছে যদি নগদ টাকা না থাকলেও ব্যাংকে জমিয়ে রাখা টাকা, স্বর্ণালংকার ইত্যাদি থাকে এবং সেগুলোর বিক্রয় মূল্য দিয়ে হজের খরচ উঠানো সম্ভব হয় তাহলে তার ওপর হজ ফরজ হবে।
তবে এক্ষেত্রে লক্ষ রাখতে হবে, যেন হজ থেকে ফিরে আসা পর্যন্ত পরিবারের ব্যয়ভার মিটাতে যেন কোনো সমস্যা না হয়। পরিবারের ব্যয় বলতে যাদের খরচ দেয়া আবশ্যক। যেমন স্ত্রী, অবিবাহিত মেয়ে ও অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে এবং মা-বাবা। নারী হলে তার মা-বাবার খরচ বহন করার প্রয়োজন আছে কি না দেখতে হবে এবং তার একজন মাহরাম সাথে যেতে পারবেন কি না। অথবা একজন মাহরামের হজের ব্যয় বহন করার সামর্থ্য আছে কি না।
যাদের সঙ্গে কখনও বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া যায় না, তারাই মাহরাম। যেমন পিতা, পুত্র, আপন ও সৎ ভাই, দাদা-নানা, আপন চাচা ও মামা, ছেলে বা নাতি, জামাতা, শ্বশুর, দুধ ভাই, দুধ ছেলে প্রমুখ। তবে একা একা দুধভাইয়ের সঙ্গে এবং যুবতী শাশুড়ির জামাতার সঙ্গে যাওয়া নিষেধ। (রদ্দুল মুহতার ২/৪৬৪)
আরও পড়ুন: অন্যের জন্য দোয়া করলে নিজের যে লাভ হয়
হজ ফরজ হওয়ার জন্য পাঁচটি শর্ত রয়েছে। এক. মুসলিম হওয়া। দুই. বিবেকবান হওয়া, পাগল না হওয়া। তিন. বালেগ হওয়া, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া। চার. স্বাধীন হওয়া। পাঁচ. দৈহিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান হওয়া।
]]>