রসুল (সা.) এর বাণীতে শীতকালকে ‘মুমিনের বসন্ত’ বলা হয়েছে। এই সময়ের বিশেষ সুযোগগুলো কাজে লাগিয়ে আমরা ইবাদত ও কল্যাণমূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারি।
শীতকাল ইবাদতের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। ঠান্ডা পরিবেশ আমাদের মনকে স্থির রাখে, আল্লাহর দিকে মনোযোগী হতে সাহায্য করে। রাত দীর্ঘ হওয়ায় তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা সহজ হয়। এই সময়ে বেশি দোয়া ও নফল নামাজ পড়ার সুযোগ পাওয়া যায়। এছাড়া, শীতকালের প্রশান্তি আমাদের হৃদয়কে আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য প্রণোদিত করে।
শীতকালে দরিদ্র মানুষের কষ্ট বেশি হয়। তাদের সহযোগিতা করা আল্লাহর কাছে অত্যন্ত প্রিয়। এই সময়ে গরিবদের শীতবস্ত্র দেওয়া বা অন্য কোনোভাবে সাহায্য করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শীতের দান বরকতময় এবং এটি আল্লাহর রহমত লাভের অন্যতম মাধ্যম। রসুল (সা.) দানকে ঈমানের পরিচায়ক হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আরও পড়ুন: আল্লাহর নবী হজরত ঈসা (আ.) সম্পর্কে কোরআনে যা উল্লেখ আছে
ঠান্ডা আবহাওয়ায় শরীর তুলনামূলকভাবে বেশি শক্তিশালী থাকে। এর ফলে দীর্ঘসময় নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত বা অন্য ইবাদত করা সহজ হয়। মনের শান্তি ও স্থিরতার জন্য শীতকাল বিশেষ ভূমিকা রাখে। একাগ্রতার সঙ্গে ইবাদত করলে আমাদের আল্লাহর নৈকট্য বৃদ্ধি পায়।
শীতকালকে ইবাদতের সময় হিসেবে গ্রহণ করলে তা দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা এনে দেয়। আল্লাহর প্রতি একাগ্রতা আমাদের জীবনে শান্তি আনে এবং আখিরাতে ভালো অবস্থান নিশ্চিত করে। এই সময়ে বেশি বেশি ইবাদত ও নফল কাজের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত অর্জন করা উচিত।
শীতকাল প্রকৃতির পাশাপাশি আত্মিক উন্নতির জন্যও বিশেষ সুযোগ এনে দেয়। এই ঋতুকে আমরা ইবাদত ও দান-খয়রাতের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত লাভের সময় হিসেবে কাজে লাগাতে পারি। তাই আমাদের উচিত শীতকালকে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য ব্যবহার করা। এর মাধ্যমে আমরা দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা অর্জন করতে পারব।