বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে যশোর সদর উপজেলার পুলেরহাট বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেলে পিছন থেকে ধাক্কা দেয়ায় মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় উত্তেজিত জনতা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
নিহতরা হলেন, খুলনা মেট্রোপলিটনের মজগুন্নি এলাকার রুবেল হোসেন ও তার ১০ বছরের কন্যা ঐশি। এ ঘটনায় আহতরা হলেন, রুবেলের স্ত্রী জেসমিন, ৪ বছরের কন্যা তায়েবা ও পথচারী যশোর সদর উপজেলার কৃষ্ণবাটি গ্রামের ওসমান আলী।
আরও পড়ুন: পরিবারের পাঁচ সদস্যকে হারিয়ে স্বজনদের আহাজারি
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রুবেল তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে শার্শা থেকে মোটরসাইকেলে খুলনা যাচ্ছিলেন। বিকেল ৫টার দিকে তিনি যশোর পুলেরহাট বাজার বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছান। ভাঙাচোরা রাস্তা ও সামনে ভিড় থাকায় তিনি বাসস্ট্যান্ডে নিজের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করেন। এ সময় পিছন থেকে দ্রুতগামী একটি বাস মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিয়ে ঠেলে নিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় রুবেল ও বড় মেয়ে ঐশি।
গুরুতর আহত হন রুবেলের স্ত্রী জেসমিন, ছোট মেয়ে তায়েবা। এরপর বাসের চালক পালানোর চেষ্টা করলে পথচারী ওসমান আলীকে ধাক্কা দেয়। স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
এদিকে এ ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী উত্তেজিত জনতা বাসটি আটকে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। নিভিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
আরও পড়ুন: শার্শায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত
নাভারণ হাইওয়ে থানার ওসি রোকনুজ্জামান জানান, এ দুর্ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত শুরু করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং আহতদের চিকিৎসা চলছে। এছাড়া আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বাসটি জব্দ করা হয়েছে।