রোববার (৪ মে) বিকেলে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে পিবিআই।
পিবিআই জানায়, আসামি মনির ও তার স্ত্রী রুমার সঙ্গে পারিবারিক কলহ চলছিল। গত ৩০ এপ্রিল রাতে মনিরের সঙ্গে তার স্ত্রী রুমা আক্তারের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মনির ঘর ছেড়ে চলে যান। পরে রাত দুইটার দিকে তিনি ফিরে এসে চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে যেতে চাইলে স্ত্রী রুমার সঙ্গে তার ফের বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে মনির তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত শুরু করলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাঁচাতে এলে মনির তার শাশুড়িকেও ছুরিকাঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় মা-মেয়েকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক ফজিলা খাতুনকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন অভিযুক্ত মনির হোসেন। এ ঘটনায় ১ মে নিহতের অপর মেয়ে তাছলিমা বাদী হয়ে মুক্তাগাছা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত ৩ মে পিবিআই ময়মনসিংহ জেলা স্বউদ্যোগে মামলাটি অধিগ্রহণ করে আসামি গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে এবং ওইদিন রাত ২ টার দিকে আসামিকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন: পোশাক শ্রমিক কমলা হত্যার ঘটনায় নিজাম উদ্দিনের মৃত্যুদণ্ড
পিবিআই ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. রকিবুল আক্তার জানান, আসামি মনির তার পরিচয় গোপন করে কুমিল্লার কোটবাড়ী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। পিবিআই ময়মনসিংহের একটি টিম তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত আসামিকে গ্রেফতার করে। পরে রোববার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করলে হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।