ময়মনসিংহে প্রতারণার জালে সৌদি প্রবাসী, মোবাইল ও অর্থ লুটের অভিযোগ

৩ সপ্তাহ আগে
সৌদি প্রবাসীর কাছ থেকে বিদেশি মুদ্রা, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে একটি প্রতারকচক্রের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (২২ জুন) কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলার পর আটক ব্যক্তিকে আদালতে তোলা হলে তার ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।

 

ভুক্তভোগী শওকত হোসেন (৩৪) ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার বাসিন্দা। আট বছর সৌদি আরবে থাকার পর এক মাস আগে দেশে ফেরেন তিনি। সঙ্গে এনেছিলেন ১৪ হাজার সৌদি রিয়াল, যা ভাঙিয়ে বাংলাদেশি মুদ্রায় রূপান্তর করে বাড়ির নির্মাণসামগ্রী কেনার পরিকল্পনা ছিল তার। তবে মুঠোফোনে পরিচয় হওয়া এক নারীর ফাঁদে পড়ে তিনি সব হারান।

 

আরও পড়ুন: বাইসাইকেলে স্বর্ণ পাচারের চেষ্টা, চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে আটক ১

 

শওকতের ভাষ্য অনুযায়ী, শহরের পাটগুদাম আটআনি পুকুরপাড় এলাকার রকি মিয়ার স্ত্রী রুমা আক্তার (২৫) কয়েকদিন আগে নিজেকে একই উপজেলার বাসিন্দা পরিচয় দিয়ে তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ শুরু করেন। সখ্যতা বাড়ার পর শনিবার বিকেলে শওকত তার চাচাতো ভাই রিয়াজকে সঙ্গে নিয়ে রিয়াল ভাঙাতে শহরে যান। রুমার আমন্ত্রণে তারা ওই বাসায় যান-সেখানেই ঘটে মূল ঘটনা।

 

শওকত বলেন, ‘বাইরে থেকে আমাদের নিয়ে বাসায় ঢুকে নিচতলার একটি কক্ষে বসানো হয়। আম ও বিস্কুট দিয়ে আপ্যায়নের পর বলা হয় আরও নাস্তা আসছে। এর পরই বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়। বিশ মিনিট পর এক যুবক এসে গালাগাল শুরু করে। বলে আমরা নাকি খারাপ কাজে এসেছি। এরপর আরও একজন আসে, তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখায়, মারধর করে।’

 

তিনি আরও জানান, ‘একপর্যায়ে রুমা এসে বলে, ‘ওরা যা চায় দিয়ে দেন’। আমাদের পকেট থেকে মোবাইল, ১৪ হাজার রিয়াল, ১১ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। এরপর বাড়ি থেকে বিকাশে ২০ হাজার টাকা আনিয়ে নেয়। ইয়াবা সামনে রেখে আমাদের ছবি তোলে, ভিডিও করে এবং জোর করে সাদা স্ট্যাম্পে সই নেয়। পরে আমাদের ২০০ টাকা দিয়ে রিকশায় তোলে আর হুমকি দেয়-এ গলিতে আর যেন না দেখি।’

 

ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রুমা আক্তারের বাসায় গিয়ে চক্রের এক সদস্য খলিলুর রহমানকে গ্রেফতার করে। তবে রুমা আক্তার ও তার স্বামী রকি মিয়া পালিয়ে যায়।

 

আরও পড়ুন: কথা কাটাকাটির জেরে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল সিফাতের

 

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন জানান, ‘চক্রটি টার্গেট করে বিদেশফেরত ও ধনাঢ্য লোকদের। ফোন নম্বর সংগ্রহ করে সম্পর্ক তৈরি করে, তারপর বাসায় ডেকে জিম্মি করে অর্থ হাতিয়ে নেয়। গ্রেফতার খলিলুরকে রিমান্ডে চাওয়া হয়েছে। বাকি দুজনকে ধরতে ও বিদেশি মুদ্রা উদ্ধারে অভিযান চলছে।’

 

পুলিশ জানায়, রকি মিয়ার বিরুদ্ধে ডাকাতি ও মাদকের মামলা রয়েছে। রুমা আক্তারও অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে ২০২৪ সালের মার্চ ও এপ্রিল মাসে দুবার গ্রেফতার হয়েছিলেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন