শনিবার (১০ মে) মধ্যরাতে পিটুনির শিকার হন তিনি। রবিবার (১১ মে) সকালে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত হায়দুল আকন্দ গফরগাঁও উপজেলার সালটিয়া ইউনিয়নের হাটুরিয়া গ্রামের অবেদ আলী আকন্দের ছেলে।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হায়দুল মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন এবং গত শুক্রবার তিনি মশাখালী ইউনিয়নের বাইলনা গ্রামে তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে যান। শনিবার গভীর রাতে কাউকে কিছু না জানিয়ে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে ঘোরাঘুরি করছিলেন। ওই সময় স্থানীয়রা তাকে গরু চোর সন্দেহে ধাওয়া করে বাইলনা এলাকার একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের সামনে ধরে ফেলে এবং গণপিটুনি দেয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত কয়েক মাস ধরে এলাকায় গরু চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় তারা রাতে পাহারা দিচ্ছেন। এ অবস্থায় ভোররাত আড়াইটা থেকে ৩টার মধ্যে হায়দুলকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে পিটুনি দেওয়া হয়।
পরদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ পিটুনির শিকার ব্যক্তিকে উদ্ধার করে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে চুরির অভিযোগে গণপিটুনিতে যুবক নিহত
গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ফারজানা আক্তার বলেন, হাসপাতালে আনার কিছুক্ষণ পরই রোগী মারা যান। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিশেষ করে পায়ে নখ উপড়ে ফেলার মতো অমানবিক নির্যাতনের আলামতও রয়েছে।
এ ঘটনায় পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদৌস আলম বলেন, 'গরুচোর সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। তবে তার নামে কোনো চুরির অভিযোগ ছিল না। পরিবার জানিয়েছে, তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা এখনো শনাক্ত করা যায়নি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।'