রোববার (১৩ জুলাই) মেজর লিগ ক্রিকেটের (এমএলসি) ফাইনালে ওয়াশিংটন ফ্রিডমকে ৫ রানে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স নিউইয়র্ক (এমআই নিউইয়র্ক)। এটি তাদের দ্বিতীয় শিরোপা।
ফাইনালে আগে ব্যাট করা নিউইয়র্ক নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮০ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ৫ উইকেটে ১৭৫ রান করতে পারে ওয়াশিংটন।
গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ওয়াশিংটন এবারও ফাইনালে উঠলেও শিরোপা ধরে রাখতে ব্যর্থ হলো।
গ্র্যান্ড প্রেইরি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন ওয়াশিংটন টস জিতে নিউইয়র্ককে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায়। মোনাঙ্ক প্যাটেলের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমে ঝড় তোলেন কুইন্টন ডি কক। এই জুটি ৭.১ ওভারে ৭২ রান যোগ করে।
আরও পড়ুন: টানা দ্বিতীয় হারে সাকিবদের ফাইনালের আশা প্রায় শেষ
মোনাঙ্ক ২২ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ২৮ রান করে লকি ফার্গুসনের শিকারে পরিণত হন। তাজিন্দের সিং ১৪ ও নিকোলাস পুরান ১৭ বলে ২১রান করে ফিরে গেলেও ডি কক রানের চাকা সচল রাখেন।
দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে অর্ধশতক তুলে নেন ডি কক। ১৭তম ওভারের শুরুতেই তাকে সাজঘরে পাঠান ফার্গুসন। নিউইয়র্কের রান তখন ১৪৮। আউট হওয়ার আগে ৪৬ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৭৭ রান করেন ডি কক।
ডি ককের বিদায়ের পর পোলার্ড রানের খাতা খোলার আগে বিদায় নেন। ব্রেসওয়েলও বিদায় নেন ৪ রান করে। শেষ দিকে নিউইয়র্ককে চ্যালেঞ্জিং স্কোর এনে দেন কুনওয়ারজিত সিং। মাত্র ১৩ বলে ২ চার ও১ ছক্কায় ২২ রানের দারুণ ক্যামিও খেলেন তিনি।
ফার্গুস্ন ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন। এছাড়া নেত্রাভালকার, ম্যাক্সওয়েল, জ্যাক অ্যাডওয়ার্ডস ও ইয়ান হল্যান্ড ১টি করে উইকেট পান।
১৮১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা ওয়াশিংটন প্রথম বলেই উইকেট হারায়। মাইকেল ওয়েনকে বিদায় করেন ট্রেন্ট বোল্ট। পঞ্চম বলে আন্দ্রে গাউসও পোলার্ডের হাতে ক্যাচ দেন। প্রথম ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই দুই উইকেট হারায় ওয়াশিংটন।
তবে ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র চারে নামা জ্যাক অ্যাডওয়ার্ডসকে নিয়ে পাল্টা আক্রমণ চালান। এই জুটি ৪৫ বলে ৮৪ রান যোগ করেন।
অ্যাডওয়ার্ডসকে আউট করে এই জুটি ভাঙেন নশতুস কেনজিগে। আউট হওয়ার আগে ২২ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ৩৩ রান করেন তিনি।
পাঁচে নামা গ্লেন ফিলিপসের সঙ্গেও জমে উঠছিল রবীন্দ্রের জুটি। এরই মধ্যে অর্ধশতকও তুলে নেন এই কিউই তারকা। কিন্তু রবীন্দ্রকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন রুশিল আগারকার। ৪১ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৭০ রান করেন রবীন্দ্র।
আরও পড়ুন: শেষ দিনের রোমাঞ্চের অপেক্ষায় লর্ডস টেস্ট
ফিলিপস আক্রমণাত্মক খেললেও ওয়াশিংটনকে ডুবিয়েছেন ম্যাক্সওয়েল। তার ধীরগতির ব্যাটিংয়ে কাঙ্ক্ষিত রানরেটের চেয়ে পিছিয়ে পড়ছিল ওয়াশিংটন। ১৮তম ওভারে ফিলিপস ২টি ছক্কায় ১৭ রান তুললেও শেষ ২ ওভারে জয়ের জন্য ২৪ রান দরকার ছিল ওয়াশিংটনের।
১৯তম ওভারেও ছক্কা হাকান ফিলিপস। তাতে ১২ রান ওঠে সেই ওভারে। রুশিল আগারকারের শেষ ওভারে জয়ের জন্য আর ১২ রান দরকার ছিল ওয়াশিংটনের। প্রথম দুই বলে সিঙেলস এলেও তৃতীয় বলে ডট দেন ম্যাক্সওয়েল। চতুর্থ বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন ম্যাক্সওয়েল। শেষ ২ বলে জয়ের জন্য দরকার ১০ রান।
পঞ্চম বলটা পিয়েনার ডট খাওয়াতেই এক প্রকার জয় নিশ্চিত হয়ে যায় নিউইয়র্কের। আনুষ্ঠানিকতার শেষ বলে পিয়েনার ৪ মারলেও ৫ রানে জয় পায় নিউইয়র্ক।
গ্লেন ফিলিপস ৩৪ বলে ৫ ছক্কায় ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন। ম্যাক্সওয়েল আউ ১৬ বলে ১৫ রান করে আউট হন। একটা বাউন্ডারিও মারতে পারেননি তিনি। পিয়েনার ২ বলে ৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
বোল্ট ও আগারকার ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেন। বাকি উইকেটটি যায় কেঞ্জিগের ঝুলিতে।