ক্যান্ডেস ওয়েন্স একজন জনপ্রিয় ইউটিউবার ও রাজনৈতিক ধারাভাষ্যকার। ইউটিউবে তার ৫৬ লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে। বর্তমানে ম্যাক্রোঁ পরিবারের সঙ্গে তার একটি আইনি লড়াই চলছে যা চলতি বছরের শুরুর দিকে ‘বিকামিং ব্রিজিত’ নামে ফরাসি ফার্স্টলেডি ব্রিজিত ম্যাক্রোঁর লিঙ্গ পরিচয় নিয়ে একটি সিরিজ পডকাস্ট প্রকাশ করার পর মার্কিন আদালতে দায়ের করা হয়।
ওই পডকাস্টে ওয়েন্স দাবি করেন, ব্রিজিত ম্যাক্রোঁ আসলে একজন পুরুষ হয়ে জন্মেছিলেন এবং প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সঙ্গে তার রক্তের সম্পর্ক ছিল। পডকাস্টে আরও দাবি করা হয় যে, ম্যাক্রোঁ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর একটি ‘মন-নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি’তে জড়িত ছিলেন।
এর জবাবে ম্যাক্রোঁ ও ব্রিজিত ওয়েন্সের বিরুদ্ধে ‘অদ্ভুত, মানহানিকর ও কল্পকাহিনী’ ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ এনে মার্কিন আদালতে একটি মানহানির মামলা দায়ের করেন। এমনকি ফার্স্ট লেডি একজন নারী— তা প্রমাণে ম্যাক্রোঁ দম্পতি মার্কিন আদালতে ছবি ও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পেশ করবেন বলেও জানায় তাদের আইনজীবী।
আরও পড়ুন: ফরাসি ফার্স্টলেডিকে সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগে ১০ জনের বিচার শুরু
গত শুক্রবার এক এক্স পোস্টে ওয়েন্স বলেন, ‘ফরাসি সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মচারী’ তার সাথে যোগাযোগ করেছেন। ওই কর্মকর্তা তাকে জানিয়েছেন যে, ‘ম্যাক্রোঁ পরিবার তাকে এবং ফরাসি সাংবাদিক জেভিয়ার পাউসার্ডকে হত্যার জন্য ষড়যন্ত্র করেছেন এবং এর জন্য অর্থও প্রদান করেছেন’।
ফরাসি মাসিক প্রকাশনা ‘ফেইটস এট ডকুমেন্টস’র সাবেক সম্পাদক পাউসার্ড আগে একটি তত্ত্ব প্রচার করেছিলেন যে, ফরাসি প্রেসিডেন্টের স্ত্রীর আসল নাম ব্রিজিত নয়। তিনি পুরুষ হয়ে জন্ম নিয়েছিলেন। তখন তার নাম রাখা হয় জ্যঁ-মিশেল ট্রোগনেক্স। মূলত তার ছোট বোনের নাম ছিল ব্রিজিত। কিন্তু সে শৈশবে মারা যায়।
বড় ভাই জ্যঁ মিশেল ট্রোগনেক্স তার লিঙ্গ পরিবর্তন করে পুরুষ থেকে নারী হন এবং এরপর ছোট বোন ব্রিজিতের নামে নিজের পরিচয় দিতে শুরু করেন। ম্যাক্রোঁর সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর তার নাম হয় ব্রিজিত ম্যাক্রোঁ।
হত্যার ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে এক্স পোস্টে ওয়েন্স আরও লেখেন, ‘আরও স্পষ্ট করে বললে, ন্যাশনাল জেন্ডামারি ইন্টারভেনশন গ্রুপের একটি ছোট দলকে (হত্যার ব্যাপারে) সবুজ সংকেত দেয়া হয়েছে। আমাকে জানানো হয়েছে, এই হত্যাকারী দলে একজন ইসরাইলি রয়েছে এবং পরিকল্পনাগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে।’
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে নারী প্রমাণে ‘বৈজ্ঞানিক তথ্য’ দেবেন ম্যাক্রোঁ
তিনি বলেন, ‘এটি খুবই গুরুতর। ফ্রান্সের রাষ্ট্রপ্রধান স্পষ্টতই আমাদের উভয়কেই মৃত দেখতে চান এবং পেশাদার খুনিদলকে এটি বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদন দিয়েছেন।’
ফরাসি ফার্স্টলেডির লিঙ্গ পরিচয় ঘিরে বিতর্ক প্রথম দেখা দেয় ২০২১ সালে। সে সময় আমান্ডিন রয় এবং সাংবাদিক নাতাচা রে দাবি করেন, ব্রিজিত পুরুষ হিসেবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন প্রচারণা ও দাবি ম্যাক্রোঁ ও ব্রিজিতকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে ফেলে। ফলে এক পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে তারা আইনের আশ্রয় নেন। ২০২৪ সালের আগস্টে ব্রিজিত ম্যাক্রোঁর আইনজীবী সাইবার বুলিং-এর অভিযোগে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন।
যার ফলে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে দুই দফায় অন্তত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গত অক্টোবর মাসে প্যারিসের একটি আদালতে তাদের বিচার শুরু হয়েছে।
]]>
৩ দিন আগে
২






Bengali (BD) ·
English (US) ·