একই মৌসুমে ৪ এল ক্লাসিকো। বার্সেলোনা সমর্থকদের জন্য অভিজ্ঞতাটা দুর্দান্ত। আর রিয়াল মাদ্রিদ? এই ক্লাসিকোই হতে পারে এবারের মৌসুমে তাদের কফিনের শেষ পেরেক।
রিয়ালের ডাগ আউটে শেষ মৌসুমটা শূন্য হাতে ছাড়তে না চাইলে জয়ের বিকল্প নেই কার্লো আনচেলত্তির সামনে। যদিও রিয়ালের সফলতম কোচ বেশ আত্মবিশ্বাসী। ‘দল বেশ ভালো করছে। যা করা দরকার তাতে মনোযোগ আছে এবং সবাই খুব উচ্ছ্বসিত। এই ম্যাচে আমাদের অনেক কিছু নির্ভর করবে, যা অর্জনে আমরা আত্মবিশ্বাসী। বার্সেলোনার বিপক্ষে ম্যাচ বরাবরই কঠিন, তবে জয়ের ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী।’
চলতি মৌসুমে আগের তিনটা এল ক্লাসিকোতেই হেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। যেখানে একটা লিগ বাদে দুটোই ছিল ফাইনাল। স্প্যানিশ সুপার কাপ কিংবা কোপা দেল রে, কোথাও পাত্তা পায়নি অ্যানচেলত্তির দল।
কোচ হিসেবে প্রথম ৪ ক্লাসিকোতেই জয়ের হাতছানি ফ্লিকের সামনে। বার্সার হয়ে তার থেকে ভালো শুরু কেবল পেপ গার্দিওলার। এই স্প্যানিয়ার্ড জিতেছিলেন টানা ৫ ক্লাসিকো। অন্যদিকে কার্লো অ্যানচেলত্তি। কোচিং ক্যারিয়ারে যিনি ১২ বার হেরেছেন বার্সেলোনার কাছে। কাতালানদের বিপক্ষে এত বেশি হারের রেকর্ড নেই অন্য কারো।
আরও পড়ুন: ৩-০ ব্যবধানে জিতবে বার্সেলোনা, এল ক্লাসিকোর ভবিষ্যদ্বাণীতে পিএসজি কোচ
এই ক্লাসিকোতেও বার্সেলোনা ফিরে আসবে ৪৩ বছরের আগের রেকর্ড। ১৯৮২-৮৩ মৌসুমের পর প্রথমবারের মতো এক ক্যালেন্ডারে চার ক্লাসিকো হেরেছিলো রিয়াল মাদ্রিদ। সে লজ্জা এড়ানোর পরীক্ষাটাও দিতে হবে লস ব্ল্যাঙ্কোসদের।
৪ পয়েন্টে এগিয়ে থাকা কাতালানদের জন্য ড্র হলেই যথেষ্ট। তবে পয়েন্ট ভাগাভাগি নয়, রাইভালদের হারানো ছাড়া কিছুই ভাবছেন না হ্যান্সি ফ্লিক। ‘আমরা বরাবরই মাঠে নামি ম্যাচ জিততে, এখানে পয়েন্ট টেবিল খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ না। ম্যাচে গুরুত্ব দিচ্ছি। তিন পয়েন্ট পেতে সর্বোচ্চটা দিতে হবে। ক্লাসিকো আমাদের কাছে যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি সমর্থকদের জন্যেও গুরুত্বপূর্ণ।’
ক্লাসিকোর পরে তিনটি করে ম্যাচ বাকি দুই দলের। বার্সার তুলনায় রিয়ালের বাকি ম্যাচগুলো অপেক্ষাকৃত কম শক্তিশালী দলের বিপক্ষে।
এদিকে দুই দলই তাদের শক্তিশালী একাদশ নিয়েই আজ মাঠে নামবে। যদিও বার্সেলোনার শুরুর একাদশে নেই বরার্ট লেভানডোভস্ককি। অন্যদিকে রিয়ালের শুরুর একাদশে থাকছে আরদা গিলার। এছাড়া আক্রমণভাগে কিলিয়ান এমবাপ্পে, ভিনিসিয়াস তো আছেনই। মাঝমাঠে আছেন ফেদেরিকো ভালভের্দে।
আরও পড়ুন: ক্ল্যাসিকো হারলেই ৪৩ বছর আগের লজ্জায় পুড়বে রিয়াল
অন্যদিকে বার্সেলোনাও তাদের শক্তিশালী আক্রমণভাগ নিয়েই মাঠে নামবে। ছন্দে থাকা রাফিনিয়া, ইয়ামাল, ফেরান তোরেস আছেন শুরুর একাদশেই। এছাড়া দানি ওলমো, ডি ইয়ং তো আছেনই।
বার্সেলোনা একাদশ: সেজনি (গোলরক্ষক), ইনিগো মার্টিনেজ, এরিক গার্সিয়া, জেরার্ড মার্টিন, পাও কুবারসি, দানি ওলমো, ডি ইয়ং, পেদ্রি, ফেরান তোরেস, রাফিনিয়া ও লামিনে ইয়ামাল।
রিয়াল মাদ্রিদ একাদশ: থিবো কোর্তোয়া (গোলরক্ষক), লুকাস ভাজকেস, ফ্রান গার্সিয়া, রাউল অ্যাসেন্সিও, দানি সেবায়োস, ফেদেরিকে ভালভের্দে, চৌয়ামেনি, জুড বেলিংহ্যাম, গিলার, কিলিয়ান এমবাপ্পে ও ভিনিসিয়াস জুনিয়র।
]]>