তবে এখন পর্যন্ত এ প্রতিষ্ঠানের কোনো হদিস পাচ্ছে না কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। পাওয়া গেলে কাস্টমস আইন অনুযায়ী জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানায় মোংলা কাস্টমস হাউস।
মোংলা কাস্টম হাউস সূত্র জানায়, গত ২৬ এপ্রিল সিঙ্গাপুর পতাকাবাহী ‘এমভি কোটা রেষ্টু’ নামে কন্টেইনারবাহী একটি বাণিজ্যিক জাহাজে ২০ ফুটের একটি কন্টেইনার বোঝাই করে পণ্য আমদানি করে ঢাকার পুরানো পল্টন এলাকার ‘মেসার্স মুন্না এন্টার প্রাইজ’ নামে একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। সেখানে সরকারি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ‘রিবন বা ফিতা’ আমদানি করার ঘোষণার পরিবর্তে আইন বহির্ভূত আরব আমিরাতের ওরিস সিলভার ব্রান্ডের সিগারেট আমদানি করা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন হলেও এ পণ্য ছাড় করে নিতে আসছে না আমদানিকরক প্রতিষ্ঠান। তাই কাস্টমসের এ বিষয় সন্দেহ হলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় কনটেইনারটি খোলে।
পরে সেখানে তল্লাশি করে দেখেন, ঘোষণায় ছিল ‘রিবন বা ফিতা’। কিন্তু কনটেইনার খুলতেই বের হয় ওরিস সিলভার ব্র্যান্ডের ৭৮ লাখ বিদেশি ব্রান্ডের সিগারেট। কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে মোংলা বন্দরে আমদানি ঘোষণার সঙ্গে মিল না থাকায় বিপুল সংখ্যক সিগারেট জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে বিদেশি জাহাজে গাড়ির ঢল
কাস্টমস সূত্র আরও জানায়, ‘পিআইএল’ বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে আসা ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের এই কনটেইনারটি মেসার্স মুন্না এন্টারপ্রাইজ নামে একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের নামে এসেছে। কনটেইনারে থাকা ৩৯০টি প্যাকেজের প্রতিটিতেই সিগারেট ছিল। এসব সিগারেটের আনুমানিক বাজারমূল্য সরকারি ভ্যাট ও আনুসঙ্গিকসহ প্রাথমিকভাবে ধরা হয়েছে ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। তবে ঘোষণা অনুযায়ী, শুল্ক দিয়ে এসব সিগারেট আমদানি করলে তার বাজার মূল্য হতো পাঁচ কোটি চার লাখ ৫৬ হাজার ৪০৬ টাকা। এ তথ্য জানিয়েছেন মোংলা কাস্টমস’র সহকারী কর্মকর্তা মো. রুবেল হাসান।
মোংলা কাস্টম হাউসের কমিশনার মুহম্মদ শফিউজ্জামান বলেন, ‘এ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের ধারণা ছিল শুল্ক ফাঁকি দিয়ে পণ্যগুলো ছাড়িয়ে নিয়ে যাবে। তাই ঘোষণার সঙ্গে মিল না থাকা ও শুল্ক ফাঁকির সুস্পষ্ট চেষ্টা ছিল আমদানিকারকদের।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নজরদারি জোরদার করা হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এভাবে প্রতারণা করতে না পারে। মোংলা বন্দরের নিরাপত্তা ও রাজস্ব রক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছি। আর ঘোষণা বহির্ভূতভাবে যারা সিগারেট আমাদানি করছে, গোপনীয়ভাবে আমদানিকারক এ প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিচ্ছি, কাস্টমস আইন অনুযায়ী জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’