মেলানিয়া বলেন, পুতিনের সাথে এ বিষয়ে ‘ওপেন চ্যানেলের’ মাধ্যমে যোগাযোগের পর, যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত ইউক্রেনীয় শিশুদের পরিবারের সাথে পুনর্মিলন করা হয়েছে।
আগস্টে আলাস্কা সফরের সময় পুতিনের হাতে ফার্স্ট লেডির লেখা এই শান্তিপত্র পৌঁছে দেয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন:ট্রাম্প দম্পতির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ও তার মেয়ের ছবি প্রকাশ
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প মেলানিয়ার এই চিঠির কিছু অংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন। এতে, ফার্স্ট লেডি পুতিনের কাছে শিশুদের সুরক্ষার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। লিখেছেন, এটি রাশিয়ার জন্য কাজ করার চেয়েও বেশি কিছু যুক্ত করবে এবং মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
মেলানিয়া ট্রাম্প বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় আটটি শিশু তাদের পরিবারের কাছে ফিরে গেছে। ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে প্রতিটি শিশু অশান্তির মধ্যে ছিল। এছাড়া যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া আরও শিশুকে পরিবারের কাছে ফেরাতে কাজ চলবে বলেও জানান তিনি।
বলেন, আট ইউক্রেনীয় শিশুর মধ্যে, সম্মুখ যুদ্ধের কারণে তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তিনজন রাশিয়ায় বাস্তুচ্যুত হয়েছিল।
অন্যদিকে, সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুত আরেক তরুণীকে ইউক্রেন থেকে রাশিয়ায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
শিশুদের তাদের পরিবারের সাথে পুনর্মিলনের ক্ষেত্রে ইউক্রেন এবং রাশিয়া উভয়ই সহায়তা করেছে। ফার্স্ট লেডি বলেন, তাকে প্রতিটি শিশুর ছবি এবং পরিচয় ও পরিস্থিতিসহ একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন দেয়া হয়েছিল।
মার্কিন সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে- জানান মার্কিন ফার্স্ট লেডি।
এছাড়া মেলানিয়া বলেন, পুতিনের কাছে তার চিঠিটি প্রথম হস্তান্তরিত হওয়ার পর থেকে তিনি এই বিষয়টি সম্পর্কে অনেক কিছু শিখেছেন। পুতিন তার চিঠির লিখিত উত্তর দিয়েছেন।
তার চিঠিতে, ফার্স্ট লেডি লিখেছিলেন, প্রতিটি শিশু তাদের হৃদয়ে একই স্বপ্ন দেখে... তা হলো, ভালোবাসা, সম্ভাবনা এবং বিপদ থেকে সুরক্ষার স্বপ্ন।
এই ঘোষণাটি হোয়াইট হাউস থেকে শিশুদের জন্য তার সমর্থনে একটি ইতিবাচক অগ্রগতি চিহ্নিত করে, যা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে শুরু হয়েছিল।
আরও পড়ুন:পুতিনকে দেয়া মেলানিয়ার চিঠিতে কী লেখা আছে?
তিনি ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ‘বি বেস্ট’ উদ্যোগটি শুরু করেছিলেন, যা হোয়াইট হাউস বিশ্বব্যাপী শিশুদের কল্যাণের উপর মনোযোগ দিয়ে একটি সচেতনতামূলক প্রচারণা হিসাবে উল্লেখ করে।
সূত্র: বিবিসি
]]>