সালমান শাহর মামা আলমগীর কুমকুমের দাবি, সালমান শাহর মৃত্যুর কারণ তার সাবেক স্ত্রী সামিরা হক। কারণ হিসেবে তিনি জানান, সামিরার সাথে সম্পর্কিত কিছু রহস্যময় ঘটনার কথা। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও যেসব প্রশ্নের যুক্তিসঙ্গত কোনো উত্তর পাননি তারা।
আসুন আলমগীর কুমকুমের দেয়া চাঞ্চল্যকর প্রশ্নগুলো একে একে জেনে নিই-
১। মৃত্যুর আগে সালমানের ব্যবহৃত সেলফোনটি আজও পাওয়া যায়নি কেন?
আরও পড়ুন: সালমান শাহ হত্যা মামলা নিয়ে যা বললেন রমনা জোনের ডিসি মাসুদ
২। মৃত্যুর আগের কয়েক দিনের কলরেকর্ডগুলো তদন্তে নেই কেন?
৩। সালমান শাহর মৃত্যুর পর প্রথম যখন ফ্ল্যাট খোলা হয় তখন ডিপিডিসি বজলুর করিম সাহেব ও পুলিশ কর্মকর্তারা ছিলেন। তারা প্রথমে ফাঁসির দড়িটি মাপেন। সালমান শাহ যতটুকু লম্বা এবং ওর গলায় যেখানে ফাঁসির দাগ সে অনুযায়ী ঝোলানো রশি পরিমাপ করে দেখা যায়, সালমান শাহর পা মাটিকে স্পর্শ করে। তাহলে কীভাবে সালমান শাহর মৃত্যু হলো?
৪। জানালার পর্দা ছেঁড়া ও জানালার গ্লাসে অসংখ্য আঙুলের ছাপ ছিল কেন?
৫। বাথরুমে পাওয়া গেছে লক করা একটি স্যুটকেস। তাতে ছিল ভেজা কাপড়। এর রহস্য কী?
৬। ফ্লোরে পাওয়া গেছে ডানহিল সিগারেট। কোনো ভদ্রলোক সিগারেট খেলে সেটি কি তার নিজের ঘরে ফ্লোরে ফেলবে, প্রশ্ন তার। তিনি আরও যোগ করে বলেন, এ সিগারেট সালমান শাহ খায় না। তাহলে ওই সিগারেট কার?
৭। পাশের বাসার প্রতিবেশি সাক্ষী দিয়েছে, মধ্যরাতে সালমান শাহর ড্রেসিং রুমে মারামারি হয়েছে তারা জানালা দিয়ে দেখেছে। তবে স্পষ্ট দেখেননি। তারা মনে করেছেন, স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া। ওই দিন ড্রেসিং রুমে কী ঘটেছিল?
আরও পড়ুন: সামিরাকে সালমানের ছোট ভাই /চিন্তা করে দেখেন, সালমান শাহ আপনাকে প্রচণ্ড ভালোবাসতো
৮। ফ্যানে ঝুলতে দেখে সামিরা বলেছে, সে রশি কেটে সালমানকে নামায়। এরপর তাকে গোসল করায়। তার শরীরে তেল মালিশ করে। কীভাবে এটা সম্ভব? এ দৃশ্য দেখে পাশের ফ্ল্যাটের লোকজনদের ডাকার কথা। দ্রুত হাসপাতালে না নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করার কথা। তা না করে সালমানকে গোসল করালো। নতুন হাফপ্যান্ট পরালো কেন?
৯। তাড়াহুড়ায় সে হাফ প্যান্টের স্টিকারও খোলা হয়নি দেখেছিলাম। হাসপাতালে না নিয়ে দুই চারজনকে দিয়ে নিথর শরীরে তেল মালিশ করিয়েছে সামিরা। এ তেল মালিশের কারণ কী?
আরও পড়ুন: সালমান শাহ-মৌসুমী জুটি ভাঙে সামিরার কারণে: সালমান শাহর ম্যানেজার
১০। পরিবারের কেউ মারা গেলে পুলিশ মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে পরিবারের সদস্যদের জেরা করে। প্রয়োজনে রিমান্ডে নেবে। এটাই আইনি প্রক্রিয়া। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো সালমানের হঠাৎ মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়া হয়। এ কারণে বাড়ির ৪ জনের কাউকেই (দুই গৃহকর্মী ডলি ও মনোয়ারা, কাজের লোক আবুল, স্ত্রী সামিরা) থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। এর কারণ কী?
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিউ ইস্কাটন রোডের ইস্কাটন প্লাজার একটি ফ্ল্যাটে মারা যান ঢালিউডের ‘স্বপ্নের নায়ক’ খ্যাত সালমান শাহ। তার মৃত্যুকে স্ত্রী সামিরা হক আত্মহত্যা দাবি করলেও নায়কের মা, বাবা ও পুরো পরিবারের দাবি এটি একটি সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
দীর্ঘ ২৯ বছর মামলা চলমান থাকার পর অভিনেতার মৃত্যু রহস্য জানতে সম্প্রতি সালমান শাহর অপমৃত্যু মামলাটি রূপ নিয়েছে হত্যা মামলায়। এ হত্যা মামলায় সর্বমোট ১১ জনকে আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যার প্রধান আসামি নায়কের সাবেক স্ত্রী সামিরা হক।
]]>
৩ সপ্তাহ আগে
৬







Bengali (BD) ·
English (US) ·