মৃত মানুষের আঙুলের ছাপ দিয়ে সিম তুলে প্রতারণা করতেন তারা

৩ সপ্তাহ আগে
মৃত ব্যক্তিদের জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সংগ্রহ করে সেখানে থাকা আঙুলের ছাপ রাবারে তুলে সেটি দিয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মুঠোফোনের সিম তৈরি করত একটি চক্র। এছাড়া আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে বন্ধ থাকা বিভিন্ন সিম তোলা হতো। সিমগুলো ব্যবহার করে বিকাশের মতো মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা, ওটিপি পাঠিয়ে বিভিন্ন ভাতার টাকা, অনলাইনে পণ্য বিক্রির নামে টাকা হাতিয়ে নিত চক্রটি। অবশেষে ময়মনসিংহে চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলন করে চক্রটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম খান। গত বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ও শুক্রবার (২১ মার্চ) অভিযান চালিয়ে চক্রটির তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।


গ্রেফতাররা হলেন- হাফিজুল ইসলাম ওরফে প্রিন্স (২৯), আজিজুল হক (২৪) ও তানভীর রহমান ওরফে কাব্য (২৬)। এর মধ্যে হাফিজুল ভালুকা উপজেলার মামারিশপুর গ্রামের নাজমুল ইসলামের ছেলে। আজিজুল টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার ঝটাবাড়ী গ্রামের মিরাজ আলীর ছেলে। তানভীর টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার করহাটা গ্রামের মৃত শরিফ মোল্লার ছেলে। তারা তিনজনই ময়মনসিংহ নগরের বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।


পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাতে চক্রটির প্রধান হাফিজুল ইসলামকে এবং শুক্রবার রাতে চক্রের অন্য দুই সদস্য আজিজুল হক ও তানভীর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। নগরের গোহাইলকান্দি এলাকার তৃতীয় তলা ভবনের একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে তাঁদের অপতৎপরতা পরিচালিত হতো। মৃত মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে মুঠোফোনে সিম নিবন্ধন করে বিক্রি করছিল চক্রটি। চক্রটির কাছ থেকে ল্যাপটপ, মুঠোফোন, বায়োমেট্রিক স্ক্যানার, রাবার পরিষ্কার করার রাসায়নিক, ফিঙ্গার হিটার মেশিন, গ্রামীণফোনের সিমের স্টিকার ২৫০টি, আঙুলের ছাপযুক্ত নেগেটিভ ৩০টি, আঙুলের ছাপ ব্যবহার করার রাবারের টুকরা ২০০টি, আঙুলের ছাপের রাবার প্লেটসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: অনলাইনে মোটরসাইকেল বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা, গ্রেফতার ৬


ওসি মো. শফিকুল ইসলাম খান বলেন, পুরো চক্রটিকে ধরতে আমাদের তৎপরতা শুরু হয়েছে। গ্রেফতার তিনজনের ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। রিমান্ডে আনার পর আরও তথ্য বের করা হবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন