মুশফিকের ৭ রানের অপেক্ষা, তিন দিনেই জয় রাজশাহীর

৩ সপ্তাহ আগে
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মুশফিকুর রহিমের নামের পাশে আছে ১৮টি সেঞ্চুরি। অথচ এর মাত্র একটিই তিনি করেছেন এনসিএলে। তিন বছর আগে রাজশাহীর হয়ে ঢাকা মহানগরের বিপক্ষে ১১০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক জাতীয় লিগে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে আছেন। এবারের আসরে সিলেট বিভাগের হয়ে খেলা মুশফিক ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ৯৩ রান নিয়ে দিন শেষ করেছেন।

সোমবার (৩ নভেম্বর) তৃতীয় দিনের পুরোটাই ব্যাট করেছে সিলেট। বিনা উইকেটে ৩৩ রান নিয়ে দিন শুরু করার পর ৭ উইকেটে ২৬০ রান তুলেছে তারা। ঢাকার চেয়ে এখনও ৫০ রানে পিছিয়ে সিলেট।


এদিন ৮২ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ব্যাটিংয়ে নামেন মুশফিক। সিলেটের রান ১১৮ হতেই আরও ২ উইকেট হারায়। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে শাহানুরের (৩০) সঙ্গে ৯৪ রানের জুটি গড়েন তিনি।


মুশফিকের ১৭০ বলের ইনিংসে ৪টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন।


এদিকে, মিরপুরে তিনদিনের মধ্যেই খুলনাকে হারিয়ে দিয়েছে রাজশাহী। শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে রাজশাহীর ৭ উইকেটের জয়ে বড় অবদান রেখেছেন শাখির হোসেন। সাতে নেমে ৮৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

 

আরও পড়ুন: ঢাকার লিগে নতুন শর্তের প্রবর্তন বিসিবির


ম্যাচ জিততে ১০৯ রানের লক্ষ্য পেয়েছিল রাজশাহী। নাজমুল হোসেন শান্তর দলের জয় পেতে খেলতে হয়েছে ২৩.৫ ওভার। সাব্বির রহমান ছক্কা মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন। ৭ বলে ১২ রান করেন জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই ব্যাটার। রান তাড়ায় সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন ওপেনার হাবিবুর রহমান। সাব্বির হোসেনকে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৭৩ রান যোগ করে জয়ের ভিত গড়ে দেন তিনি।


এর আগে ১ উইকেটে ৬৮ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরুর পর ২৫৫ রানেই গুটিয়ে যায় খুলনা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দলটির পক্ষে আরও ৪ ব্যাটার ৩০ এর বেশি রান করলেও কেউই বড় রান করতে পারেননি। জাতীয় দলের ফাস্ট বোলার নাহিদ রানা রাজশাহীর পক্ষে ৭১ রানে ৩ উইকেট নেন। আরেক পেসার মোহাম্মদ ওয়ালিদও ৩ উইকেট নেন। ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন এসএম মেহরাব।


আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের কোচের দায়িত্ব ছাড়ছেন ট্রট


এদিকে, কক্সবাজারে বৃষ্টির কারণে বাধাগ্রস্ত হয়েছে চটতগ্রাম-বরিশালের ম্যাচ। তৃতীয় দিনে খেলা হয়েছে মোটে ১৫ ওভার। আগের রাতের বৃষ্টির প্রভাবে আউটফিল্ড খেলার অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছিল। মাঠ ঠিকঠাক করে খেলা শুরু করতে বেশ সময় লেগে যায়। আলোকস্বল্পতার কারণে দিনের খেলা বন্ধও হয়েছে আগেভাগে।


আগের দিনে ২ উইকেটে ১১৫ রান তোলা বরিশাল আজ কোনো উইকেট না হারিয়েই ১৬৬ রানে পৌঁছেছে।


এর পাশের একাডেমি মাঠে ময়মনসিংহ-রংপুর ম্যাচের একটি বলও মাঠে গড়ায়নি।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন