মুন্সীগঞ্জে ফার্নেস ওয়েল লুটের ঘটনায় মামলা, তিনদিনেও হয়নি উদ্ধার

৩ সপ্তাহ আগে
মুন্সীগঞ্জে সাড়ে তিন কোটি টাকা মূল্যের ৩৫০ মেট্রিক টন ফার্নেস ওয়েল লুটের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার তিন দিন পার হলেও ফার্নেস ওয়েল উদ্ধার বা ডাকাতদের শনাক্ত করা যায়নি। উদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে নৌ পুলিশ।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে ডাকাতি করার অপরাধে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি রুজু হয়।

 

এর আগে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ভোরে চর মুক্তারপুরের কাছে ধলেশ্বরী-শীতলক্ষ্যা মোহনা থেকে ছিনতাই করে একদল ডাকাত। জাহাজে থাকা ফার্নেস ওয়েলের মালিক সামিট গ্রুপ। আর ওয়েল ট্যাংকারের মালিকানা প্রতিষ্ঠান কিং ফিসার শিপিং লাইন্স।

 

মামলার বাদী হয়েছেন ওয়েল ট্যাংকারের মালিকানা প্রতিষ্ঠান কিং ফিসার শিপিং লাইন্সের অপারেশন ম্যানেজার ফজলে খোদা। মামলাটিতে সাত-আট জন অজ্ঞাত ডাকাতকে আসামি করা হয়।

 

আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে জাহাজে জলদস্যুর হানা, সোয়া ৩ কোটি টাকার ফার্নেস ওয়েল লুট

 

মামলায় উল্লেখ করা হয়, ওটি বিন জামান-১ ৩৬০ দশমিক ৩৬ মেট্রিক টন ফার্নেস ওয়েল নিয়ে নারায়ণগঞ্জের মদনগঞ্জের সামিট ঘাট থেকে গাজীপুরের কড্ডা পাওয়ার প্লান্টের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টায় ডাকাতের কবলে পরে। তারা রওনা হয় সকাল ৬টায়। যাত্রা শুরুর আধা ঘণ্টার মধ্যেই ওয়েল ট্যাংকারটি ছিনতাই হয়ে যায়। ইঞ্জিনচালিত একটি ট্রলার যোগে পেছন দিক থেকে লাফিয়ে ওয়েল ট্যাংকারে উঠে চালকসহ সবাইকে ঘিরে ফেলে ছিনতাইকারীরা। এসময় প্রত্যেকের হাতে রাম দা ছিল।

 

মাস্টার সহিদুল শিকদার (২৯), ইঞ্জিন ড্রাইভার জাকির হোসেন (৫০), সুকানি মোহাম্মদ কামাল (২৫), লস্কর মোহাম্মদ দিদার (৩৫), লস্কর মোহাম্মদ জসিম (৪৫) এবং বাবুর্চি নিয়ামত উল্লাহকে (৫০) ওয়েল ট্যাংকারের কেবিনে নিয়ে কালো রঙের জম টুপি সাদৃশ্য টুপি পরিয়ে প্লাস্টিকের টাই দিয়ে হাত বেঁধে বন্দি করে রাখে। জাহাজটি চলন্ত অবস্থায় থাকার এক পর্যায়ে কোথাও থামানো হয়। সেখান থেকে ৩৫০ মেট্রিক টন ফার্নেস ওয়েল লুট করে নেয় তারা।

 

ছিনতাই ওটি বিন জামান-১-এর কেবিন রুমে বন্দি করে রাখা মাস্টারসহ ছয় স্টাফকে উদ্ধার করে পুলিশ। ছবি: সময় সংবাদ

 

পরে রাত ৮টার দিকে মেঘনা সেতুর কাছে ওয়েল ট্যাংকারটির সন্ধান পায় পুলিশ। কাছাকাছি যেতেই ডাকাতরা দ্রুত নেমে তাদের ট্রলারটি নিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ ভেতরে গিয়ে বন্দি ছয়জনকে উদ্ধার করে। জিম্মি হওয়া এই ছয়জন ভয় আর আতঙ্কে অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন।

 

আরও পড়ুন: থানা থেকে ছিনিয়ে নেয়া সেই যুবদল নেতা আবারও গ্রেফতার

 

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম সাইফুল আলম জানান, মামলাটি সদর থানায় রেকর্ড করা হলেও যেহেতু বিষয়টি নৌপথের ঘটনা, তাই তদন্ত করছে নৌ পুলিশ। মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর নৌ পুলিশ পরিদর্শক লুৎফর রহমান জানান, লুণ্ঠিত ফার্নেস ওয়েল উদ্ধার এবং ডাকাতদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন