পেশীশক্তি প্রদর্শনপূর্বক রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কাজে বাধা দেয়ার সুস্পষ্ট অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করা হয় বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে যুবদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মু. মাসুদ রানা বলেন, ‘উপজেলা যুবদলের সদস্য তরিকুল ইসলামকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কারণ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের রক্ত ও জীবনের বিনিময়ে অর্জিত এ নতুন বাংলাদেশে আমরা ও আমাদের দল কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবো না।’
আরও পড়ুন: থানা থেকে যুবদল নেতাকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় গ্রেফতার ৩, ওসি প্রত্যাহার
পুলিশ জানায়, মারামারির ঘটনায় গত ১৯ নভেম্বর শ্রীনগর থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি ছিলেন তরিকুল ইসলাম। শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
পরে তরিকুলকে ছাড়িয়ে নিতে প্রথমে থানায় আসেন বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতারা। তারা তরিকুলকে ছেড়ে দেয়ার জন্য পুলিশকে বিভিন্নভাবে চাপ দেন। পুলিশ তাতে রাজি না হলে পরে নেতাকর্মীদের একটি দল থানায় যায়।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে হাতকড়াসহ আসামি ছিনতাই, ৬ পুলিশ সদস্য ক্লোজড
এর কিছুক্ষণ পর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা থানা প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন। প্রায় ২০০ নেতাকর্মী সেখানে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পুলিশের সঙ্গে তারা বাগবিতণ্ডা শুরু করেন। একপর্যায়ে রাত ১০টার দিকে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে জোর করে ওসি ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সামনে থেকে আসামি তরিকুলকে ছিনিয়ে নিয়ে যান তারা।
এই সময় তারা থানায় ভাঙচুর ও ধস্তাধস্তির ঘটনায় শ্রীনগর থানার ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় শনিবার (১১ জানুয়ারি) শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. জয়নাল আবেদীন মৃধা জেমসকে প্রধান আসামি করে ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ ২০১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পরে পুলিশ শ্রীনগর থেকে সিয়াম পাঠান, শুভ পাঠান ও হিমেল নামের তিনজনকে গ্রেফতার করে।