মঙ্গলবার দিবাগত রাত (২৭ নভেম্বর) দেড়টায় বনানীর হোটেল শেরাটনের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার ব্যক্তির নাম রিপন (২৮)। তার তথ্যের ভিত্তিতে অপহৃত ব্যবসায়ীকেও উদ্ধার করে পুলিশ।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস্ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ভিকটিম মো. আইয়ুব খান পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তিনি মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে কেনাকাটা করে প্রাইভেটকারযোগে গুলশানের নিজ বাসায় ফিরছিলেন। পথে গুলশান-২ এর ৯৮ নম্বর রোড এলাকায় পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীরা মোটরসাইকেলযোগে এসে তার গাড়ি থামায়। তারা গাড়ি থেকে ড্রাইভারকে টেনে-হিঁচড়ে নামিয়ে দেয় এবং ভিকটিম মো. আইয়ুব খানকে প্রাইভেটকারসহ অপহরণ করে। পরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিকটিমের স্ত্রীর কাছে তারা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
এ ঘটনায় ওইদিন ভিকটিমের স্ত্রী সাহিদা আরোবি ওরফে সুমির অভিযোগের প্রেক্ষিতে গুলশান থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়।
আরও পড়ুন: কারাগারের সামনে থেকে সাবেক এমপির ছেলে অপহরণ!
পরে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার ও আসামি গ্রেফতারে তৎপর হয়। এক পর্যায়ে ভিকটিমের স্ত্রীর থেকে মুক্তিপণের টাকা নিতে এলে রিপনকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বনানীর ৯ নম্বর রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিম ও প্রাইভেটকারটি উদ্ধার করা হয়।
এ সময় অপর অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে ঘটনাস্থল থেকে অপহরণের কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: অস্ত্রের মুখে দুই মৎস্য ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে অপহরণ
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার রিপন মুক্তিপণ আদায়ের জন্য ব্যবসায়ী মো. আইয়ুব খানকে অপরহণের কথা স্বীকার করেন।
গুলশান থানার মামলায় রিপনকে বুধবার আদালতে পাঠানো হয়। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও অপহরণের সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।