শনিবার (২৯ মার্চ) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির প্রেক্ষিতে জরুরি ভিত্তিতে ওষুধ, ত্রাণসামগ্রী, উদ্ধার এবং মেডিকেল সহায়তা প্রদানের জন্য বিশেষ বিমানে রোববার (৩০ মার্চ) মিয়ানমারে যাচ্ছেন বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর উদ্ধারকারী দল।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের সাগাইংয়ের উত্তর-পশ্চিমে শুক্রবার (২৮ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুরে ১২টা ৫০ মিনিটে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত দেশটিতে ১৬০০ এর বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।
ইউএসজিএসের তথ্যমতে, ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। এর কয়েক মিনিট পরেই ৬ দশমিক ৪ মাত্রার একটি আফটারশক এবং আরও কয়েকটি ছোট ছোট কম্পন অনুভূত হয়।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে মিয়ানমার-থাইল্যান্ডে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৬০০ ছাড়াল
এতে আঘাতপ্রাপ্ত হয় প্রতিবেশি থাইল্যান্ডও। শুধু তাই নয় ভূমিকম্পের প্রভাব অনুভূত হয়েছে পাশ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশ, চীন এবং ভিয়েতনামেও। বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে এবং এটি ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের সবচেয়ে কাছের শহর।
ভূমিকম্প এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, পশ্চিমে ভারত এবং পূর্বে চীন, পাশাপাশি কম্বোডিয়া এবং লাওসের ভবনগুলোও কেঁপে ওঠে। মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ডে উদ্ধারকর্মীরা এখনও জীবিতদের খুঁজে বের করার জন্য লড়াই করছেন। তারা অনেকে খালি হাতে ধ্বংসস্তুপ খুঁড়ে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্প মোকাবিলায় সক্ষমতা নেই মিয়ানমারের?
এদিকে জান্তা সরকারের আন্তর্জাতিক সহায়তার উদাত্ত আহ্বানের পর সহায়তা আসতে শুরু করেছে মিয়ানমারে। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহায়তা পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছে। ভারত এরইমধ্যে ত্রাণ পাঠিয়েছে এবং চীনা উদ্ধারকারী দল পৌঁছেছে।