মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা জানায়, শেষ ঘণ্টা পর্যন্ত ভূমিকম্পে ২,০৫৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত ৩,৯০০ জনেরও বেশি। এছাড়া ২৭০ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
ভূমিকম্প বিধ্বস্ত দেশটিতে মানবিক সংকট আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সাহায্যকারী গোষ্ঠীগুলো। এরপর জাতিসংঘ ৮০ লক্ষ ডলার জরুরি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে।
আরও পড়ুন:ভূমিকম্পের ৪০ ঘন্টা পর ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার
এদিকে মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় এবং আহত রোগীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মিয়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধের মধ্যে দুর্যোগ ত্রাণ প্রচেষ্টা জোরদার করতে ‘যুদ্ধবিরতি হওয়া প্রয়োজন’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মিয়ানমারে মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ।
তিনি আরও বলেন, ‘ভূমিকম্পের পর বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মানবিক সাহায্য যাতে মিয়ানমারে ঢুকতে পারে এবং বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য যুদ্ধবিরতি হওয়া খুবই দরকার।’
এদিকে, ভূমিকম্পে বিধ্বস্তে মিয়ানমারের হামলা চালিয়ে যাচ্ছে জান্তা সরকার। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যত্থানের মাধ্যমে জান্তা সরকারের ক্ষমতা নেয়ার পর জান্তা বিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো তাদের হটাতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধেই বিমান হামলা চালাচ্ছে সামরিক বাহিনী।
অন্যদিকে ভূমিকম্পে প্রতিবেশী থাইল্যান্ডে এখন পর্যন্ত ২০ জন মারা গেছেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন:মিয়ানমারে ফের ভূমিকম্প, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭০০
শুক্রবার (২৮ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুরে মিয়ানমারের মান্দালয় শহরের কাছে ভয়াবহ ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এতে প্রতিবেশি থাইল্যান্ডও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া বেশ কয়েকটি দেশে কম্পন অনুভূত হয়।
]]>