মিষ্টি কুমড়ার ভালো ফলনেও হাসি নেই কৃষকের মুখে

৪ সপ্তাহ আগে
কিশোরগঞ্জে মিষ্টি কুমড়া চাষে লোকসানে পড়েছেন কৃষকরা। চাহিদার চেয়ে ফলন বেশি হওয়ায় মিলছে না কাঙ্ক্ষিত দাম। বাধ্য হয়ে কম দামে বিক্রি করায় উঠছে না উৎপাদন খরচও। ভালো দাম পেতে দেরিতে জমি থেকে কুমড়া সংগ্রহের পরামর্শ দিয়েছে কৃষি বিভাগ। কিশোরগঞ্জ থেকে নূর মোহাম্মদের তথ্য ও ছবিতে রিপোর্ট।

কিশোরগঞ্জের হিজলজানি হাওরে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে চাষ হয়েছে মিষ্টি কুমড়া। জমি থেকে কুমড়া সংগ্রহ করে তুলে দেয়া হচ্ছে ট্রাকে। চলে যাচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।

 

এমন ভালো ফলনেও হাসি নেই কৃষকের মুখে। কারণ মিলছে না ন্যায্য দাম। গত বছর ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হলেও এবারে দাম নেমেছে অর্ধেকে। তাই অনেকের কাছেই এখন গলার কাটা এই কুমড়া। হতাশ হাওরের কৃষকরা।

 

তারা বলেন, ৭-১২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কুমড়া। উৎপাদন খরচ মিটিয়ে লাভ করাই এবার কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে।

 

আরও পড়ুন: নেত্রকোনার হাওড়াঞ্চলে এখন জনপ্রিয় মিষ্টি কুমড়ার চাষ

 

কৃষি বিভাগ জানাচ্ছে, তাড়াইল উপজেলায় ৩'শ ও ইটনায় আড়াইশ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ হয়েছে। অন্যান্য সবজির আবাদ বেশি হওয়ায় বাজারে মিষ্টি কুমড়ার চাহিদা কম।

 

অন্যদিকে জোগান বেশি থাকায় ভালো দাম পাচ্ছে না কৃষক, এমন তথ্য তুলে ধরে দেরিতে কুমড়া সংগ্রহের পরামর্শ কৃষি বিভাগের। কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. ইমরুল কায়েস বলেন, রমজান মাস চলায় কুমড়ার চাহিদা কম। তাই এখনই সব কুমড়া সংগ্রহ না করে ধীরে ধীরে সংগ্রহ করতে হবে।

 

এবারের মৌসুমে কিশোরগঞ্জ জেলায় ১২১৬ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৫ হাজার মেট্রিক টন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন