মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় স্বাধীনতা চত্বরে (মিরপুর ১০) বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। এতে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাসহ বিভিন্ন থানার প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, ‘অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে রাজনীতিতে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি ও দখলদারির কবর রচনা করতে হবে। রাজনীতিতে আর কোনো সন্ত্রাসী ও তাদের আশ্রয়দাতাদের জায়গা হবে না। মিরপুরে আমাদের কর্মীদের ওপর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস আই টুটুলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করতে হবে। সেইসঙ্গে বিএনপির সব সাংগঠনিক ও প্রাথমিক পদ থেকে বহিষ্কার করতে হবে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘আপনার দলের দুষ্ট গরু ও সন্ত্রাসীদের থামান অন্যথায় তারাই বিএনপি ধ্বংস করবে।’
বিক্ষোভ মিছিলে আরও বক্তব্য দেন এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব আকরাম হুসেইন, সংগঠক এম এম শোয়াইব, সদস্য ইমরান নাঈম ও জায়েদ বিন নাসের।
আরও পড়ুন: শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ শুরু করলে নিতে পারবেন না: হাসনাত
কেন্দ্রীয় সংগঠক আব্দুল্লাহ মনসুরের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, হামলায় আহত ছাত্রসংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহিন আহমেদ ও কেন্দ্রীয় সহ-মুখপাত্র ফারদিন হাসান।
উল্লেখ্য, মিরপুরের রুপনগর থানা এলাকায় গত সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে এনসিপি ও গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ নেতাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে এনসিপির প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ও শামীম আহমেদ গুরুতর আহত হয়ে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়া গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক মাহিন আহমেদসহ আরও চারজন আহত হন।
অভিযোগ রয়েছে, রুপনগর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস আই টুটুল ও তার সহযোগীদের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে।
]]>