সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) গাজার বেশ কয়েকটি জায়গায় হামলা চালায় নেতানিয়াহুর সেনারা। এদিন, শুজাইয়া এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণে আহত হন বেশ কয়েকজন।
এর আগে মানসুরা স্ট্রিটে এক বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয় ইসরাইলি হামলায়। আর জেইতুন এলাকায় আল-নাদিম স্ট্রিটে গোলাবর্ষণে আরও একজন নিহত হন।
উত্তর গাজা ও আল-কাসাসিব এলাকায়ও ইসরাইলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন নারী ও বৃদ্ধসহ অনেকে। পশ্চিম তীরের সালেম এলাকায় নেতানিয়াহু বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে ১৭ বছর বয়সি কিশোর। একইসঙ্গে, গাজার উত্তরে নতুন করে তিনটি এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে দখলদাররা।
আরও পড়ুন: ইসরাইলি বোমায় একই পরিবারের ১২ সদস্য নিহত
তবে, পালটা জবাব দিতে পিছপা হচ্ছে না হামাসও। বেইত হানুনে হামাসের চালানো অতর্কিত হামলায় হতচকিত ইসরাইলি সেনারা। হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডসের মুখপাত্র আবু ওবাইদা জানান, ঘাতক সেনাদের লক্ষ্য করে পরিকল্পিত অ্যামবুশ চালিয়েছে যোদ্ধারা।
এছাড়া, ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানায়, গাজার দারাজ এলাকায় একটি অ্যান্টি-ট্যাংক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে তাদের একটি দলকে লক্ষ্য করা হয়েছে। একইসঙ্গে আল-কুদস ব্রিগেড জানিয়েছে-গাজা শহরের পূর্বাংশে আল-মুনতর পাহাড়ে অবস্থিত ইসরাইলি বাহিনী ও যানবাহন লক্ষ্য করে তারা হামলা চালিয়েছে।
এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য মিশরের রাজধানী কায়রোতে পৌঁছেছে হামাসের একটি প্রতিনিধিদল।
হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তাহের আল-নুনু শুক্রবার জানিয়েছেন, ‘খলিল আল-হাইয়ার নেতৃত্বে হামাসের প্রতিনিধিদল কায়রোর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।’
আরও পড়ুন: গাজায় জাতিসংঘ কর্মীকে হত্যার কথা স্বীকার ইসরাইলের
তিনি আরও বলেন, যুদ্ধের সমাপ্তি নিয়ে হামাসের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করার জন্য শনিবার মিশরীয় কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক হবে।
তবে হামাস অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত নয় বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
গত জানুয়ারিতে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ১৮ মার্চ থেকে ইসরাইল গাজায় বিমান ও স্থল হামলা শুরু করে। এরপর কয়েকদফায় আলোচনায় বসলেও যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই প্যারিসে গাজা সংকট ও দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান নিয়ে আলোচনা করেছেন সৌদি ও ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। আগামী জুনে সৌদি আরব ও ফ্রান্সের যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে-যেখানে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা হবে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ আগেই জানিয়েছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ফ্রান্স ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে পারে।
]]>