মিরপুর ১০ নম্বর মোড় ও হোপ মার্কেট গলির হকাররা বেপরোয়া, তৈরি করছে মব

৩ সপ্তাহ আগে
বেপরোয়া হয়ে উঠেছে রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর মোড় ও হোপ মার্কেটের গলির হকাররা। তুচ্ছ ঘটনায় নারী ক্রেতাদের সাথে অশালীন আচরণ, শ্লীলতাহানি এমনকি মব তৈরি করে গণপিটুনিও দিচ্ছেন তারা।

গত ৫ দিনে তিন নারীসহ চারজনকে গণপিটুনি ও হেনস্থা করেছেন হকাররা। হকারদের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ নারী ক্রেতারা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান তাদের। এসব ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর স্থানীয় জনতার সহায়তায় তিন ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি এসব এলাকায় টহল বাড়িয়ে ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুলিশ।

 

গত ২৪ মার্চ রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বরের হোপ মার্কেটের গলিতে জুতা কিনতে যান দুই তরুণী। জুতা পায়ে দিতে গিয়ে পিন বিঁধে যায় পায়ে। এতেই ক্ষুব্ধ দোকানদার। প্রতিবাদ করায় ৫ থেকে ৬ জন মিলে ওই তরুণীকে হেনস্থা করেন। ৪ দিন পর একই গলিতে জামার দাম নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় মারধর করা হয় এক নারীকে। মুহূর্তেই ভাইরাল হয় সে ভিডিওটি।

 

একই দিনে ১০ নম্বর মোড়ের ফুটপাতে এক নারীর সঙ্গে জামার দাম নিয়ে তর্কে জড়ান এক হকার। সঙ্গে থাকা তার ছেলে বাঁধা দিলে ৬ থেকে ৭ জন মব তৈরি করে মারধর করে সেই কিশোরকে।

 

আরও পড়ুন: ক্রেতাকে মারধর: হকার সিন্ডিকেটের ৪ জনকে পুলিশে দিলো ছাত্র-জনতা

 

খোঁজ নিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, জুতার দোকান ও জামার দোকান খোলা, কিন্তু নেই অভিযুক্তরা। তবে ১০ নম্বরে মা ও ছেলেকে হেনস্থা করা ফুটপাতের দোকানগুলো বন্ধ। পাশের দোকানিরা জানান, ঘটনার জন্য দায়ী হকাররাই।

 

পাশের দোকানিরা জানান, যারা ঝামেলা করেছে তারা তো নেই। কিশোর ক্রেতাকে এমন করে মারছে দেখে আমি এসে ছাড়িয়ে দিয়েছে। তারা বলেন, ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা না ঘটে, সেজন্য শক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।

 

শুধু এই তিন ঘটনাই নয়, নারী ক্রেতাদের অভিযোগের শেষ নেই এসব এলাকার হকারদের বিরুদ্ধে। হেনস্থাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তাদের।

 

জানা গেছে, তিন ঘটনার ভিডিও ভাইরালের পর ১০ নম্বরে মা ও ছেলেকে হেনস্থা করা এক হকারকে গণপিটুনি দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। গ্রেফতার করা হয়েছে ৬ জনকে।

 

মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ রোমান বলেন, যারা এ ধরনের কাজ করবে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সে যে দলের হোক বা যে পর্যায়ের লোক হোক না কেন।

 

তিন ঘটনায় জড়িত বাকিদের ধরতেও অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন