মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ায় ম্যারাডোনার সাবেক দেহরক্ষী গ্রেফতার

৩ সপ্তাহ আগে
২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দিয়েগো ম্যারাডোনা। জীবনের শেষ দিনগুলোয় তার চিকিৎসায় যে ৮জন নিয়োজিত ছিলেন, তাদের মধ্যে ৭ জনের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে আদালতে মামলা চলছে। এ মামলায় আদালতে মিথ্যা বলা ও তথ্য গোপন করার দায়ে ম্যারাডোনার সাবেক দেহরক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ম্যারাডোনার সাবেক দেহরক্ষী হুলিও সিজার কোরেয়া মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছেন কি না, তা তদন্ত করার নির্দেশ দেন আদালত। এরপর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। ম্যারাডোনাকে যারা পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছিলেন, তাদের মধ্যে হুলিও সিজার একজন।  

 

গত মঙ্গলবার আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় হুলিও সিজার জানান, কক্ষে ঢুকে তিনি দেখেন নার্স গিসেলা মাদ্রিদ ও মনোবিদ অগাস্তিনা কোসাচভ ম্যারাডোনাকে সিপিআর (কৃত্রিম শ্বাস দেওয়ার প্রক্রিয়া) দিচ্ছেন। তিনি আরও জানান, কোসাচভ ম্যারাডোনার মুখে মুখ লাগিয়ে কৃত্রিম শ্বাস দেওয়ার চেষ্টা করেন। আর এ মামলায় গিসেলা ও কোসাচভ বিবাদী পক্ষ।

 

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ছাড়ার আগে যা বললেন হামজা

 

নিউরোসার্জন লিওপোল্ড লুকুর সঙ্গে কথা হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে মিথ্যা বলেছেন হুলিও, বিচারকার্য পরিচালনার পক্ষ থেকে তাকে সতর্কও করা হয়। ফেরারি বলেন, ‘লুকু ও কোরেয়ার মধ্যে অনেক কথা হয়েছে। যেখান থেকে আমরা বুঝতে পারি, দুজনের সম্পর্কও বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শী কথা হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।’ 

 

Diego Maradona's ex-bodyguard is arrested on suspicion of perjury during the icon's death trial 😳🚨 pic.twitter.com/mBx8rka77n

— Mail Sport (@MailSport) March 26, 2025

 

ম্যারাডোনার জীবনে শেষ চার বছর তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেছেন লুকু। তার মৃত্যুর কয়েক সপ্তাহ আগে মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জমাট রক্ত অপসারণ করেছিলেন এই চিকিৎসক। 

 

আরও পড়ুন: মেসির বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে যা বললেন স্ক্যালোনি

 

ম্যারাডোনার মেয়ে জানা গত মঙ্গলবার আদালতে সাক্ষ্য দেন, লুকু ও হুলিও সিজার পরামর্শ দিয়েছিলেন, বাসায় হাসপাতালের সব সরঞ্জামের ব্যবস্থা করে তার বাবাকে ‘হোম হসপিটালাইজেশন’-এ রাখার। যদিও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ পরামর্শ দিয়েছিল, ম্যারাডোনাকে হাসপাতালে রাখা হোক। 

 

ম্যারাডোনার চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন একজন নিউরোসার্জন, একজন মনোরোগবিদ, একজন মনোবিজ্ঞানী, একজন মেডিকেল কো-অর্ডিনেটর, একজন নার্স কো-অর্ডিনেটর, একজন চিকিৎসক এবং রাতের পালার নার্স। দিনের বেলায় ম্যারাডোনাকে দেখভাল করতেন যে নার্স, তার বিচার করা হবে আলাদাভাবে। দোষী সাব্যস্ত হলে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ৮ থেকে ২৫ বছরের জেল হতে পারে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন