ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন ক্ষেত্রে ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে দু’জনের।
মাস্কের সঙ্গে ফোনালাপের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে নিজেই জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
তিনি লেখেন,
বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে ইলন মাস্কের সঙ্গে। চলতি বছরের শুরুতে ওয়াশিংটন ডিসিতে আমাদের মধ্যে যে আলোচনা হয়েছিল, সেই বিষয়গুলোও উঠে এসেছে। আমরা প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছি। এসব ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে ওপেনএআইর পাল্টা মামলা
বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এই আলোচনা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ একদিকে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যচুক্তির কাজ এগোচ্ছে, অন্যদিকে ট্রাম্প সরকারের সম্ভাব্য শুল্ক বাড়ানোর হুমকি ভারতের রফতানির ওপর চাপ তৈরি করেছে। এ অবস্থায় প্রযুক্তি খাতকে ‘কৌশলগত গুঁটি’ হিসেবেই কাজে লাগাতে চাচ্ছে দিল্লি, এমন মনে করছেন অনেকে।
এদিকে মাস্ক নিজেও এখন ভারতের বাজারে ঢোকার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে স্টারলিংক এরমধ্যেই ভারতের দুটি বড় টেলিকম কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে। শুধুমাত্র সরকারের সবুজ সংকেতের অপেক্ষা।
আরও পড়ুন: ইলন মাস্কের পদত্যাগ নিয়ে যা বললেন জেডি ভ্যান্স
একইসঙ্গে, টেসলাও দিল্লি ও মুম্বাইয়ে কর্মী নিয়োগ দিতে শুরু করেছে, খোঁজা হচ্ছে শোরুমের স্থানও। এরইমধ্যে ২১ এপ্রিল ভারত যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে তার বৈঠক ঘিরে আলোচনায় থাকবে অর্থনীতি, ভূরাজনীতি ও বাণিজ্য।
]]>