দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালের আগস্টে পুনরায় চালু হয় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। বায়রার তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের ৩১ মে পর্যন্ত দুই দেশের সরকার নির্ধারিত ১০১টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে পৌনে ৫ লাখ কর্মী দেশটিতে পাড়ি দিয়েছেন। যদিও সরকারিভাবে ৭৯ হাজার টাকা খরচ নির্ধারণ হলেও কর্মী প্রতি ব্যয় হয়েছে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা। তবে শেখ হাসিনার আমলে টিকিট জটিলতার কারণে যেতে পারেননি ১৫ থেকে ১৭ হাজার কর্মী।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বে আসার পর পুনরায় দেশটির শ্রমবাজার চালু নিয়ে কথা হচ্ছে। টিকিট জটিলতায় আটকে থাকাদের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী। যদিও এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ দেখছে না বায়রা।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় পাসপোর্ট ও কনস্যুলার সেবার ব্যাপারে নতুন সিদ্ধান্ত
বায়রার মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী সময় সংবাদকে বলেন,
যারা যেতে পারেননি, তাদেরকে নেয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার। প্রসেস চলছে। মন্ত্রণালয়ও কাজ করছে, হাইকমিশনও কাজ করছে। কিন্তু এখনও আমাদের কাছে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি মনে হয়নি।
জনশক্তি রফতানিতে স্বচ্ছতা আনতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে কঠোরভাবে তদারকি করার পরামর্শ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা। পাশাপাশি আইনভঙ্গকারীদের আইনের আওতায় আনার কথাও বলছেন তারা।
আরও পড়ুন: ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নে প্রবাসীদের সুখবর দিলো সৌদি আরব
এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন,
পুরো পদ্ধতিটাই চলে গেছে ইনফরমাল চ্যানেল বা আন্ডারগ্রাউন্ডে, যেটার কোনো তথ্য-উপাত্ত নেই। বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে যাদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হচ্ছে, সেটা কিন্তু আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। যত দ্রুত সম্ভব এ বিষয়ে আইন করা দরকার। সেইসঙ্গে শক্ত হাতে আইন বলবৎ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত এই সরকার শুরু করে দিতে পারে।
অবৈধ ভিসা কেনা-বেচা ও লেনদেন বন্ধ করা না গেলে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলা ও অভিবাসন ব্যয় নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
]]>