মালয়েশিয়ায় ভয়াবহ বন্যা, আশ্রয়কেন্দ্রে ১৪ হাজার মানুষ

২ দিন আগে
মালয়েশিয়ায় গত কয়েকদিনের অবিরাম ভারি বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় দেশটির সাতটি রাজ্যের প্রায় ১৪ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ৪ হাজার ৮৪৪টি পরিবারের মোট ১৩ হাজার ৯১৫ জন মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে (পিপিএস) যেতে বাধ্য হয়েছেন।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী ড. আহমদ জাহিদ হামিদি জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের সব নিরাপত্তা এবং জরুরি সংস্থাগুলোকে পূর্ণ প্রস্তুত মোডে রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি নিশ্চিত করেন যে, সরকার ইতোমধ্যে ৬৩টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র (পিপিএস) সক্রিয় করেছে এবং ত্রাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য ফেডারেল, রাজ্য ও জেলা পর্যায়ে সব সাড়া প্রদানকারী সংস্থার মধ্যে সমন্বয় করা হয়েছে।

 

ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি’র (নাদমা) ডিজাস্টার কন্ট্রোল সেন্টার থেকে প্রাপ্ত সবশেষ প্রতিবেদন মতে, সোমবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত কেলাতান রাজ্যটি বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

 

এদিকে আগামী ২-৩ দিনের আবহাওয়ার অনিশ্চয়তার পরিপ্রেক্ষিতে, দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় বন্যা-প্রতিরোধমূলক প্রস্তুতি ও পদক্ষেপ আরও জোরদার করেছে। শিক্ষামন্ত্রী ফাদলিনা সিদেক জানিয়েছেন, মন্ত্রণালয়ের প্রধান অগ্রাধিকার হলো মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বোর্ড পরীক্ষার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে তাদের পরীক্ষা শেষ করতে পারে এবং বন্যাপ্রবণ এলাকার শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা রক্ষা করা। 

 

আরও পড়ুন: সৌদি আরব ও ইরাকে ভূমিকম্প

 

অস্থায়ী বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শনের পর মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি চারটি স্কুল পরিদর্শন করেছি এবং সেখানে শিক্ষার্থীদের হোস্টেলে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া দেখেছি, যা একটি প্রাথমিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা’।

 

তিনি আরও জানান, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ, রয়্যাল মালয়েশিয়া পুলিশ, ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্ট এবং সিভিল ডিফেন্স ফোর্সসহ বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় এই প্রস্তুতিমূলক অভিযান চালু করা হয়েছে।

 

এছাড়া, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সঙ্গে প্রস্তুত রয়েছে যাতে আটকেপড়া বা পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে অক্ষম পরীক্ষার্থীদের দ্রুত সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করা যায়।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন