রোববার (২৩,নভেম্বর) মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার ড. মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম এর সঙ্গে এক সৌজন্যে সাক্ষাতে এমন মন্তব্য করেন ঝাং।
বৈঠকটি বাংলাদেশ মিশনের চ্যান্সারি ভবনে অত্যন্ত আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় বলে জানায় হাইকমিশনারের পারসোনাল অফিসার মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
আরও পড়ুন:মালদ্বীপে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
বৈঠকে জাতিসংঘ-বাংলাদেশ-মালদ্বীপের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। বিশেষ করে মালদ্বীপে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের অধিকার, নিরাপত্তা ও কল্যাণ সুরক্ষার বিষয়ে উভয় পক্ষই গুরুত্বারোপ করেন।
এ সময় রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর হাও ঝাং মালদ্বীপে জাতিসংঘের চলমান কর্মকাণ্ড, অগ্রাধিকারমূলক ক্ষেত্র এবং বিদ্যমান সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার প্রচেষ্টার বিষয়েও বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে অবহিত করেন।
বৈঠকে হাইকমিশনার ড. মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম জাতিসংঘের অভিবাসী কর্মীদের অধিকার, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য মৌলিক বিষয়গুলোতে সহযোগিতামূলক অবস্থানের জন্য (ইউএনআরসি) কে ধন্যবাদ জানান।
এ সময় তিনি বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা সহজেই মালদ্বীপের সংস্কৃতি ও ভাষার সাথে মানিয়ে নিতে সক্ষম এবং দেশটির অর্থনীতি ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন।
একইসাথে হাইকমিশনার মালদ্বীপের মেডিসিন গ্র্যাজুয়েটদের বাংলাদেশে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ সুবিধা প্রদানের বিষয়েও আলোকপাত করেন এবং জানান যে জনস্বাস্থ্য, শ্রম অধিকার ও মানবসম্পদ উন্নয়নে বাংলাদেশ মালদ্বীপের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।
তিনি জাতিসংঘ সংস্থাগুলো, মালদ্বীপ সরকার এবং বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে ত্রিপাক্ষিকভাবে শ্রম অধিকার, জনস্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যৌথ সেমিনার ও কর্মসূচি আয়োজনের প্রস্তাব দেন।
(ইউএনআরসি) প্রস্তাবটিকে স্বাগত জানান এবং তিনি (আইওএম) কে মালদ্বীপে অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষায় আরও উন্নত প্রস্তাব উপস্থাপনের জন্য অনুরোধ করবেন বলেও জানান।
এ সময় হাইকমিশনার যোগ করেন, নিরাপদ অভিবাসন ও কার্যকর মনিটরিং নিশ্চিত করতে (আইওএম) বাংলাদেশ ও (আইওএম) মালদ্বীপের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে, যা ভবিষ্যতে ত্রিপাক্ষিক কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করবে।
আরও পড়ুন:৯ হাজারেরও বেশি অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে মালদ্বীপ
বৈঠকে উভয়ই আন্তরিকভাবে আশা প্রকাশ করেন, জাতিসংঘ-বাংলাদেশ-মালদ্বীপের সমন্বিত উদ্যোগ ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের শান্তি, মানবিক সুরক্ষা, অভিবাসী কল্যাণ এবং টেকসই উন্নয়নকে আরও এগিয়ে নেবে।
]]>

৩ দিন আগে
২






Bengali (BD) ·
English (US) ·