শনিবার (১২ এপ্রিল) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের নিজস্ব আইডিতে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এই অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
স্ট্যাটাসে তিনি ব্যক্ত করেছেন, এই কর্মসূচি শুধু প্রতিবাদের মাধ্যমই নয়, বরং একটি প্রজন্মের হৃদয়ে ন্যায়ের বোধ জাগিয়ে তোলার এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হয়ে উঠেছিল।
স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘বাসায় ফিরে শুনি, আমার তিন মেয়ে তাদের মায়ের সঙ্গে ফ্ল্যাগ হাতে রাস্তায় গিয়েছিল। ফিরে এসে তারা চোখ-মুখে আবেগ নিয়ে জানালো, কীভাবে মানুষের তীব্র প্রতিক্রিয়া ও ভালোবাসার ঢেউ তারা দেখেছে।’
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ঢাকার ‘মার্চ ফর গাজা’র খবর
তিনি উল্লেখ করেন, রোদে হাঁটা, আয়োজনে খরচ, সব মিলিয়ে কর্মসূচিটি কষ্টসাধ্য ছিল। কিন্তু শেষে এসে যখন স্ত্রীর ফোনে মেয়েদের স্লোগান দেওয়া ভিডিও দেখলেন— ‘ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ, হাইফা-ইলাত নিপাত যাক’— তখন সেই কষ্ট যেন এক অনন্য অর্জনে রূপ নিল।
মাওলানা সাইফুল্লাহ লেখেন, ‘আজকের কর্মসূচির আসল সাফল্য ছিল শিশুদের অন্তরে ন্যায়ের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি করা এবং সামষ্টিক চেতনার বীজ বপন। এই কচি অন্তরের আগামীর বোধই বা কম কিসে?’
তার এই স্ট্যাটাস ইতোমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এবং অনেকেই এতে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করছেন, আগামী প্রজন্মকে মানবতা, ন্যায় এবং জুলুমের বিরুদ্ধে অবস্থানের চেতনায় গড়ে তুলতে এ ধরনের অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
]]>