মার্কিন মালিকানাধীন হান্টার কোম্পানির চীনের এই কারখানায় এক সময় কাজ করতেন ৪০০ শ্রমিক। এখন সেই সংখ্যা নেমে এসেছে অর্ধেকে, আরও ছাঁটাইয়ের শঙ্কাও রয়েছে।। সব রকম ব্যবসা সম্প্রসারণ বন্ধ করে দিয়েছেন, এমনকি বন্ধ হয়ে গেছে কোম্পানিটির নতুন পণ্যের গবেষণাও।
শ্রমিকদের একজন জানান, ২০ বছরের বেশি কাজ করছি এখানে। যারা ছাঁটাই হলো, তারা সবাই ছিল আমাদের দীর্ঘদিনের সহকর্মী, বন্ধু। এই শুল্কের কারণেই সব হয়েছে। আমরা চাই, এই পরিস্থিতির দ্রুত অবসান হোক।
চলতি বছর এপ্রিলে চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই রাতারাতি বাতিল হয় ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলারের অর্ডার, থেমে যায় উৎপাদন। ক্যালিফোর্নিয়ার ইউনিয়ন সিটিতে হান্টারের মার্কিন সরবরাহ কেন্দ্রজুড়ে এখন ছড়িয়ে আছে বন্ধ হয়ে যাওয়া অর্ডারের কনটেইনার।
আরও পড়ুন: কিশোর গ্যাং- পর্ব: ১ / খেলনা পিস্তল যেভাবে হয়ে ওঠে আসল পিস্তল
হান্টারের প্রধান নির্বাহী জেসন চিউং বলেন, ব্যবসা টিকিয়ে রাখাটাই এখন লড়াই। উৎপাদন ভিয়েতনামে সরানোর চিন্তাও করছি, তবে সেটিও লাভজনক হবে কি না, নিশ্চিত নই। পুরোপুরি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে কোম্পানির ভবিষ্যৎ।
তিনি আরও বলেন, আমি কেবল খুঁজে যাচ্ছি, কীভাবে এই শুল্ক পরিস্থিতি মোকাবিলা করবো। কিন্তু আজকের পরে কী হবে, তা কেউ জানে না। কোন দেশকে শুল্কমুক্ত রাখা হবে, সেটাও পরিষ্কার না। সবকিছু যেন এক দুঃস্বপ্ন।
যে হান্টার একদিন ছিল মার্কিন স্বপ্নের প্রতীক, সেখানে এখন অনিশ্চয়তা ও হতাশার চিত্র। ট্রাম্পের শুল্ক নীতিতে চীনা কারখানার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক শিল্প কারখানাও। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছে অসংখ্য মার্কিন পরিবার।
]]>