মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে এরদোয়ানের ‘হাতে’ তুলে দিলেন ট্রাম্প!

৩ সপ্তাহ আগে
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে গত রোববার (১৮ মার্চ) একটি ফোনালাপ হয়েছে। ওই ফোনালাপের মধ্যদিয়ে তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আবর্তিত কূটনৈতিক সম্পর্ক, বিশেষ করে সিরিয়াকে ঘিরে আঞ্চলিক বিষয়গুলো সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এসেছে।

মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে এরদোগানের হাতে তুলে দিয়েছেন ট্রাম্প

 

তুর্কি সংবাদমাধ্যম টিজিআরটি হেবার-এর আঙ্কারা সংবাদদাতা ফাতিহ আতিক ওই ফোনালাপের আলোচ্য বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন। 

 

তুর্কিয়ে টুডের প্রতিবেদন মতে, কথোপকথনের সময় ট্রাম্প তুরস্কে সদ্য নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাককে (যিনি যেকোনো মুহূর্তে তার দায়িত্ব গ্রহণ করবেন) তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগানের ‘হাতে’ তুলে দিয়েছেন।

 

ট্রাম্প এরদোয়ানকে বলেছেন, ‘আমাদের রাষ্ট্রদূত শিগগিরই তার দায়িত্ব পালন শুরু করবেন এবং তিনি আপনার সেবায় নিয়োজিত আছেন। আপনি তার সাথে সরাসরি কথা বলতে পারেন, কোনো মধ্যস্থতার প্রয়োজন নেই।’

 

সিরিয়ায় তুরস্কের ভূমিকায় আস্থা প্রকাশ ট্রাম্পের

 

প্রতিবেদন মতে, আঞ্চলিক নিরাপত্তা, বিশেষ করে সিরিয়া অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তুরস্কের ভূমিকার প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক বিষয়গুলোতে আঙ্কারার নেতৃত্বের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আস্থা রয়েছে জানিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ‘এই অঞ্চলে (মধ্যপ্রাচ্যে) ও সিরিয়ায় তুরস্কের ভূমিকায় আমরা বিশ্বাস রাখি। সিরিয়া এখন তুরস্কের হাতে ন্যস্ত।’

 

আরও পড়ুন: এরদোয়ানের হুঁশিয়ারির মধ্যেই রাস্তায় হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

 

ট্রাম্প-এরদোয়ান ফোনালাপ যুগান্তকরী: ট্রাম্পের দূত 

 

গত সপ্তাহে তিন তিনটি আলোচিত ফোনালাপের ঘটনা ঘটে। যার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঐতিহাসিক ফোনালাপ।

 

এরপরই ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে এবং তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গেও ফোনালাপ হয় ট্রাম্পের। তবে পুতিন ও জেলেনস্কি ছাড়া এরদোয়ানের সঙ্গে ট্রাম্পের ফোনালাপের বিষয়টি তেমন গুরুত্ব পায়নি বিশ্ব মিডিয়ায়। যা নিয়ে কথা বলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ।

 

স্থানীয় সময় গত শুক্রবার (২১ মার্চ) মার্কিন সাংবাদিক টাকার কার্লসনকে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের এই দূত জানান, সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের ফোনালাপ ছিল একটা ‘বিরাট’ ও ‘যুগান্তকরী’ ঘটনা। কিন্তু গণমাধ্যমে এটা যথেষ্ট গুরুত্ব পায়নি।

 

অনলাইন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে উইটকফ বলেন, এই ফোনালাপ যুক্তরাষ্ট্র-তুরস্ক কূটনৈতিক সম্পর্কে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। তার ভাষায়, ‘আমি মনে করি, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও এরদোগানের মধ্যে অসাধারণ একটি আলোচনা হয়েছে। এটি সত্যিকার অর্থে রূপান্তরমূলক ছিল’।

 

তিনি অভিযোগ করে বলেন, গাজা সংকট, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইত্যাদি কারণে গণমাধ্যমে এই আলোচনা যথেষ্ট গুরুত্ব পায়নি। তুরস্কের যোগাযোগ অধিদফতরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্প ও এরদোয়ানের মধ্যে ফোনালাপটি হয়। এতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন ও বৈশ্বিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়।

 

এরদোগান এ সময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের মধ্যে ভবিষ্যৎ সহযোগিতা আরও সুদৃঢ় হবে এবং ফলপ্রসূ হবে। এর আগে গত নভেম্বরে ট্রাম্প পুনঃনির্বাচিত হওয়ার পর তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তাকে অভিনন্দন জানান।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন