ক্লাসিক্যাল বাহাতি স্পিনার দোশী ভারতের হয়ে ৩৩ টেস্টে ১১৪ উইকেট শিকার করেছেন, ছয়বার নিয়েছেন ইনিংসে ৫ উইকেট। এছাড়া ১৫ ওয়ানডে খেলে ওভারপ্রতি ৩.৯৬ রান দিয়ে ২২ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সৌরাষ্ট্র, বাংলা ছাড়াও খেলেছেন কাউন্টি দল ওয়ারউইকশায়ার ও নটিংহ্যাম্পশায়ারে।
৭০ এর দশকে ভারতের বিখ্যাত স্পিন চতুষ্টয়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ক্রিকেটে আসা দোশীর অভিষেক হয় ৩২ বছর বয়সে। নটিংহ্যাম্পশায়ারে খেলার সময় তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি স্যার গারফিল্ড সোবার্সের দ্বারা ভীষণভাবে প্রভাবিত হন। ৮০ এর দশকে খুব দ্রুত অনেকটা চুপিসারে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান। সে সময় ভারতের ক্রিকেট যে পথে হাঁটছিল তার সঙ্গে একমত হতে পারেননি দোশী। স্পিন পাঞ্চ নামের আত্মজীবনীতে তার ক্রিকেট জীবনের বিভিন্ন ঘটনা সততার সঙ্গে লিখে গেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: একই ম্যাচের মধ্যে ৪ ভাষায় কথা বলছেন রাহুল, কেন?
২০০৮ সালে ইএসপিএন–ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দোশী বলেছিলেন, 'স্পিন বোলিং হচ্ছে বুদ্ধির লড়াই।' দোশি এক জন চিন্তাশীল ক্রিকেটার হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং ১৯৮১ সালের মেলবোর্ন টেস্টে তিনি সেই বৈশিষ্ট্য দারুণভাবে তুলে ধরেন—যেই টেস্টটি ভারত জিতে নেয়। ঐ ম্যাচে তিনি পাঁচ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। চশমা পরে বল করে পরিচিতি পাওয়া দোশী সেই বিখ্যাত টেস্টে পায়ের ভাঙা আঙুল নিয়ে খেলেছিলেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে প্রতিদিন খেলার পর সন্ধ্যায় তিনি ইলেকট্রোড ব্যবহার করতেন যাতে ফুলে না ওঠে।
বহু বছর ধরে দোশীকে প্রায়ই ক্রিকেট ম্যাচে দেখা যেত, প্রখ্যাত রক ব্যান্ড 'দ্য রোলিং স্টোনস' এর মিক জ্যাগারের সঙ্গে। ১৯৭৬ সাল থেকে শুরু হওয়া বন্ধুত্বের সূত্রে মিক জ্যাগার হয়ে ওঠেন দোশীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। মৃত্যুকালে দোশী স্ত্রী কালিন্দী, ছেলে নয়ন (যিনি সারে ও সৌরাষ্ট্রের হয়ে খেলেছেন), এবং মেয়ে বিশাখাকে রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে ভিভিএস লক্ষণ, সুনীল যোশী ও রবি শাস্ত্রীর মত সাবেক ক্রিকেটাররা শোক প্রকাশ করেছে।