মাদ্রাসার টয়লেটে শিশুর মরদেহ উদ্ধার, মামলা

২ দিন আগে
লক্ষ্মীপুরে পৌর শহরের আল মুঈন আবাসিক মাদরাসার ছাত্র নিহতের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ মে) দিনগত রাত ১২ টার দিকে নিহত শিশুর বাবা হুমায়ুন মাতব্বর বাদী হয়ে প্রধান শিক্ষক মাওলান বশির আহম্মদ ও অভিযুক্ত মাহমুদুর রহমানসহ ৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫ জন আসামি করে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 


এর আগে মঙ্গলবার (১৩ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জেলা শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকার আল-মুঈন ইসলামী একাডেমির টয়লেটের ভেতর থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় সানিম হোসাইন (১০) নামে এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।


এ ঘটনাকে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ আত্মহত্যা বললেও শিশুটির পরিবারের দাবি এটি ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাহমুদুর রহমান নামে মাদরাসার এক শিক্ষককে গতকার সন্ধ্যায় আটক করে পুলিশ।

আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসাছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু, পরিবারের অভিযোগ হত্যাকাণ্ড

নিহত সানিম রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের কুচিয়ামারা গ্রামের মুদি ব্যবসায়ী হুমায়ুন মাতব্বরের ছেলে। সে মাদরাসাটির হেফজ বিভাগের আবাসিক ছাত্র ছিল। পরিবারের দাবি, শিক্ষক মাহমুদুর রহমানের মারধরের কারণে সানিমের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ‘টয়লেটে ঢুকে আত্মহত্যা করেছে’—এমন দাবি করছে।  


লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল মোন্নাফ জানান, মাদ্রাসায় শিশু হত্যার ঘটনায় শিশুটির বাবা হুমায়ুন মাতব্বর বাদী হয়ে ৩ জনের উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেছেন।  মাহমুদুর রহমান নামের এক শিক্ষককে এই মামলার গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছে। 
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন